গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের সরকার পরিবারের অন্যতম সদস্য কামরুজ্জামান সরকার রাকিবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মাহিয়া মাহি। তার স্বামী পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ। এটি ছিল মাহির দ্বিতীয় বিয়ে।
গত শনিবার সরগরম হয়ে উঠেছিল মাহিয়া মাহির গ্রেফতারের খবরে। পুলিশের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার হন তিনি। সেই সময় পলাতক ছিলেন তার স্বামী। ওমরাহ সেরে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরতেই গ্রেফতার হন নায়িকা।
এর পর জেলেও যান, তবে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে একই আদালতে একই বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে মাহির জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর রোববার সকালে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে দেশে ফেরেন মাহির স্বামী রাকিব। বিমানবন্দরে আত্মসমর্পণ করেন রাকিব, তাকে কোর্টে তোলা হলে আদালত তারও জামিন মঞ্জুর করেন।
মাহি জানান, সরাসরি ফেসবুক লাইভে এসে গোটা বাংলাদেশের পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলা তার উচিত হয়নি। এটি তার ভুল হয়েছে। আমি লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে বলে ভুল করেছি। একজন পুলিশ আমাদের পুলিশ প্রশাসনকে রিপ্রেজেন্ট করে না। তাই আমার লাইভে বলাতে পুরো বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে বিতর্কিত করেছে হয়তো। আমি সেটির জন্য দুঃখিত, ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে আমি যে দেড় কোটি টাকার কথা বলেছি, সেটা অবশ্যই তদন্ত হবে। আমি ন্যায়বিচারের জন্য সবার কাছে যাব।
মাহি আরও বলেন, শিগগিরই আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল স্যারের সঙ্গে কথা বলব। তারাই এটার সত্যতা প্রমাণ করবেন’।
পত্রিকা একাত্তর / মাসুদ পারভেজ