আজ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চিত্রনায়ক এস এম আসলাম তালুকদার মান্নার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মারা যান সুপারস্টার মান্না।জীবদ্দশায় অনেক সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি।
এ নায়কের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না ও মান্না ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার মান্নার নিজ জেলা টাঙ্গাইলের প্রেস ক্লাবে মান্না স্মরণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ‘মান্না ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম’-এর উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আজ শুক্রবার বিকেলে
এছাড়া বহু হিট সুপারহিট সিনেমার এ নায়কের মৃত্যুদিনে তাকে স্মরণ করবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, পরিচালক সমিতি।
১৯৮৪ সালে বিএফডিসি আয়োজিত নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমের মাধ্যমে মান্না চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তার প্রথম অভিনীত সিনেমা ‘তওবা’ (১৯৮৪)।
মান্না অভিনয়ের পাশাপাশি কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করেছেন। তিনি কৃতাঞ্জলী চলচ্চিত্র নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি লুটতারাজ, স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ, দুই বধু এক স্বামী, আমি জেল থেকে বলছি, পিতা মাতার আমানতসহ মোট আটটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।
মান্না অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে- সিপাহী, যন্ত্রণা, অমর, পাগলী, ত্রাস, জনতার বাদশা, লাল বাদশা, আম্মাজান, আব্বাজান, রুটি, দেশ দরদী, অন্ধ আইন, স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ, অবুঝ শিশু, মায়ের মর্যাদা, মা-বাবার স্বপ্ন, দাঙ্গা, কাসেম মালার প্রেম,শান্ত কেন মাস্তান, কষ্ট, বীর সৈনিক, অবুঝ শিশু, সাজঘর, উত্তরের খেপ ও কাবুলিওয়ালা ইত্যাদি অন্যতম।
মান্না চব্বিশ বছরের কর্মজীবনে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত আম্মাজান চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। তিনি বীর সৈনিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং আম্মাজান চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন।এছাড়াও তিনি তিনবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন এবং বেশ কয়েকবার বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন।
১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন মান্না। মৃত্যুর পর তাকে সেখানেই সমাহিত করা হয়। অনেক ভক্ত প্রায়ই নায়ক মান্নার কবর দেখতে ভিড় করেন।
পত্রিকা একাত্তর/ মাসুদ পারভেজ