মার্কিন পপ গায়িকা টেইলর সুইফটের পুরো নাম টেইলর অ্যালিসন সুইফট। গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড বিজয়ী মার্কিন কান্ট্রি সঙ্গীত শিল্পী, গায়ক-গীতিকার, রেকর্ড প্রযোজক, এবং অভিনেত্রী। টেইলর সুইফটের জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া। বিয়ন্সের রেকর্ডের রাতে একটি গ্র্যামি পুরস্কার জিতলেন টেইলর সুইফটও। রবিবার আমেরিকার সময় রাতে ও বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় শুরু হওয়া গ্র্যামির ৬৫তম আসরে সেরা মিউজিক ভিডিও ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
২০০৬ সালে টেইলর সুইফট তার প্রথম গান “টিম ম্যাকগ্র” প্রকাশ করে, এরপর প্রকাশিত হয় তার প্রথম একক অ্যালবাম টেইলর সুইফট যা রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা কর্তৃক প্লাটিনাম প্রত্যায়ন পায়। ২০০৮ এর নভেম্বরে টেইলর সুইফট তার দ্বিতীয় অ্যালবাম ফিয়ারলেস প্রকাশ করে। ২০০৮ এর শেষে ফিয়ারলেস ও টেইলর সুইফট এর বিক্রয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় যথাক্রমে ২.১ এবং ১.৫ মিলিয়ন। ফিয়ারলেস অ্যালবামটি বিলবোর্ড ২০০ চার্টে ১১ সপ্তাহ ধরে (ধারাবাহিকভাবে নয়) শীর্ষস্থান দখল করেছিল, যা কোন অ্যালবাম ২০০০ সালের পর পারেনি। আমেরিকার ফোর্বস ম্যাগাজিনের র্যাঙ্কিং-এ সুইফটের অবস্থান ছিল ৬৯তম শক্তিমান তারকা যার আয়ের পরিমাণ ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে বিলবোর্ড সুইফটকে বর্ষসেরা শিল্পীর খেতাব প্রদান করে। ফিয়ারলেস ২০১০ সালের বর্ষসেরা অ্যালবাম হিসেবে গ্র্যামি পুরস্কার অর্জন করে। ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যালবামগুলো সবমিলিয়ে প্রায় প্রায় ৪০ লক্ষ কপি বিক্রি হয়, যা তাকে নিলসেন সাউন্ডস্ক্যানের জরিপ অনুসারে সে বছরে সবচেয়ে বেশি বিক্রিপ্রাপ্ত মার্কিন সঙ্গীতশিল্পীর মর্যাদা দেয়। ২০১২ সালে টেইলর সুইফট প্রকাশ করে তার চতুর্থ অ্যালবাম, রেড।
সুইফটের গান লেখার দক্ষতার জন্যে তাকে ২০০৭ সালের বর্ষসেরা সঙ্গীত-লেখকের পুরস্কার দেওয়া হয়। সুইফটই সবচেয়ে কম বয়েসী শিল্পী যে এই পুরস্কার লাভ করেন।
নিজের ক্যারিয়ারে মোট ১২টি গ্র্যামি অর্জন করলেন টেইলর সুইফট। এবারের পুরস্কারটি তিনি পেয়েছেন তার ‘অল টু ওয়েল’ শিরোনামে মিউজিক ভিডিওর জন্য।
পত্রিকা একাত্তর/ মাসুদ পারভেজ
আপনার মতামত লিখুন :