অভিনেতা খলিল উল্লাহ খানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী


বিনোদন ডেস্ক প্রকাশের সময় : ০৮/১২/২০২২, ৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ / ৬২
অভিনেতা খলিল উল্লাহ খানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী

ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা হিসেবে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে তিনি ছিলেন ভীষণ জনপ্রিয় খলিল উল্লাহ । পাঁচ দশকেরও বেশি সময় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অভিযাত্রার সঙ্গে থেকে ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর চিরবিদায় নেন অভিনেতা খলিল। আজ তার ৮তম মৃত্যুবার্ষিকী।না থেকেও তিনি রয়ে গেছে বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয়ে। ৫৪ বছর ধরে প্রায় আটশ’ ছবিতে অভিনয় করেছেন খলিল

১৯৫১ সালে আর্মি কমিশনে যোগ দিয়ে কোয়েটাতে চলে যান। ১৯৫২ সালে ফিরে এসে আনসার এডজুট্যান্ট হিসেবে যোগ দেন। দীর্ঘদিন সাসপেন্ড থাকার পর তা উইড্র হয় ১৯৭৭ সালে। ১৯৯২ সালে আনসার থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন খলিল। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৬৫ সালে চুক্তিবদ্ধ হন ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’ ছবিতে। ভাওয়াল রাজার ঐতিহাসিক কাহিনী অবলম্বনে এর চিত্রনাট্য লিখেছিলেন—রওনক চৌধুরী। তিনিই ছিলেন ছবির পরিচালক। ছবিতে ডাক্তার আশুর চরিত্রে ছিলেন খলিল। ছবিতে নায়িকা অর্থাৎ রানীরূপী রেশমার সঙ্গে ছিল তার পরকীয়া প্রেম। ভাওয়াল সন্ন্যাসীর পর ‘উলঝন’ ছবিতে খলিলের নায়িকা ছিলেন রোজী।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘ক্যায়সে কঁহু’, ‘জংলি ফুল’, ‘আগুন’, ‘পাগলা রাজা’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ওয়াদা’, ‘বিনি সুতার মালা’, ‘বউ কথা কও’, ‘কাজল’ ইত্যাদি। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সিনেমায় মীরজাফরের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে দর্শকের কাছে প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। তথ্য সূত্র: অনলাইন।

পত্রিকা একাত্তর/ মাসুদ পারভেজ