মৎস্য জীবীদের মাছ ধরার কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি বটিয়াঘাটা উপজেলার গজালিয়া মৌজায় অবস্থিত বগারখাল নামকস্থানে। গাওঘরা এলাকার মৎস্যজীবীরা খুলনা জেলা প্রশাসক ও বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বটিয়াঘাটা গজালিয়া মৌজায় বগার খালে মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করে থাকে এলাকার অর্ধশত মৎস্যজীবী পরিবার। এলাকার গোলাম ফকির,জহুর,বাবুল, ছোট,সাহাবুদ্দিন, তুহিন,শেখর, অনুপম, বাবলুসহ শতাধিক লোকজন অভিযোগ করে বলেন, গাওয়ারা এলাকার মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান সরদার আমাদের উক্ত খালে মাছ ধরতে বাধা দিচ্ছে। আমাদের মাছধরা জাল, চারোসহ মাছধরা মালামাল ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে। আমরা প্রতিবাদ করলে সে সহ তার বাহিনী আমাদের বিভিন্ন ভয়বীতি ও জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। এলাকার অধিকাংশ পরিবার আমরা উক্ত খাল থেকে মাছ ধরে সংসার চালাই। অন্যদিকে সারা বছর মাছ ধরে জীবন জিবীকা করলেও আমরা সরকারি ভাবে কোন সহযোগিতা পাইনা। এমনকি আমাদের জেলে কার্ডও দেওয়া হয়না। অথচ যারা জেলে না তাদেরকে দেওয়া হয়েছে জেলে কার্ড। বতর্মান এলাকায় মৎস্যজীবি ও বগারখাল দখলকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী অভিযোগকারী মৎস্যজীবীরা বগার খালটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া ও পাশাপাশি এলাকার মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান সরদার সহ তার বাহিনীদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোরদাবী জানান।
সুরখালী ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা কাজী রেজাউল হোসেন বলেন,খালটি ওয়াহিদ সরদার কে আগামী চৈত্র মাস পর্যন্ত সরকারীভাবে ইজারা দেওয়া হয়েছে। জনগন খালটি উন্মুক্ত চাইলে আমার কোন আপত্তি নাই।
খাল দখলকারী মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান সরদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক না। আমি সরকারি ভাবে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে জলমহল কিনে বগার খালটি ভোগ দখল করছি। খালটি উন্মুক্ত হোক এটা আমিও চাই।
বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মমিনুর রহমান বলেন,দোষিদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ আক্তারুল ইসলাম