স্কুলের জমি বউ শ্যালক শ্যালিকার নামে নিয়ে ভবন নির্মান


উপজেলা প্রতিনিধি, মনিরামপুর প্রকাশের সময় : ২০/১১/২০২২, ৬:৩৬ অপরাহ্ণ / ৫২
স্কুলের জমি বউ শ্যালক শ্যালিকার নামে নিয়ে ভবন নির্মান

মনিরামপুর উপজেলার জি, এইচ পাড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪০ লাখ টাকা মূল্যের জমি কবলা দলিলে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আর এই জমি কেনা হয়েছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্ত্রী, শ্যালিকা ও শ্যালকের নামে। সেই জমির ওপর সম্প্রতি শপিংমল নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন সভাপতি।

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ইউনুচ আলীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানা গেছে, পাড়দিয়া মৌজার ২২ শতক জমির মধ্য থেকে ১০ শতক জমি প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুর ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান পরস্পর যোগসাজশে কথিত রেজুল্যুশন করে সভাপতির স্ত্রী সেলিনা খাতুন বেবী, শ্যালিকা হোসনে আরা খাতুন হেনা এবং শ্যালক শরিফুল ইসলাম বিল্লালের নামে কবলা দলিলের মাধ্যমে বিক্রি করে দিয়েছেন।

সম্প্রতি পাড়দিয়া বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকা ওই জমির ওপর শপিংমল নির্মাণ কাজ অনেক এগিয়ে যাওয়ায় জমি বিক্রির বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় বাদী হয়ে সাবেক মেম্বার ইউনুচ আলী, সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তিনি সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে তার কার্যালয়ে ২৩ নভেম্বর হাজির হবার নোটিস পাঠিয়েছেন।

এ বিষয়ে সভাপতি কামরুজ্জামান জমি লিখে নেয়ার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, জমিটি বিক্রির খুবই প্রয়োজন ছিল কিন্তু কোন ক্রেতা না পাওয়ায় তিনি তার নিকটজনদের নামে কিনেছেন। প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুর বলেন, ওই জমি বিক্রি করে বিদ্যালয়ের নামে অন্য জমি কেনা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, জমি বিক্রির বিষয়টি তারা কেউ জানেন না। প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি যোগসাজশে এই অপরাধ করেছেন। বর্তমান মেম্বার সবুজ আহমেদ বলেন, এটা খুবই অন্যায় হয়েছে এবং তিনি জড়িতদের শাস্তি চান।

পত্রিকা একাত্তর/ মোজাপ্ফার হুসাঈন