নেত্রকোণার বারহাট্টায় মাছ পাহারা দিতে গিয়ে প্রাণ গেল ৬৫ বছর বয়সী এক কৃষকের।
জানা যায় মৃত ওই ব্যক্তির নাম আঃ সাত্তার। বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর।তার বাড়ি বারহাট্টা উপজেলার ৪নং আসমা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড এর ছোট কৈলাটি গ্রামে।
মৃত আঃ সাত্তার এর ছেলে কে. এম দিনার জানান বিলে আমাদের জমি রয়েছে। এখন উক্ত বিলের জমিতে প্রচুর প্রাকৃতিক মাছ রয়েছে। চোর মাছ নিয়ে যায়। তাই বাবা(মৃত আঃ সাত্তার) প্রতি রাতে পাহারা দিতেন।প্রায় রাতেই তিনি বাড়ি না ফিরে সেখানেই থেকে যেতেন।গতকাল ঠিক তেমনটাই ঘটেছিল। রাতের খাবার খেয়ে তিনি মাছ পাহারা দিতে বিলে যান।
আজ ৯ নভেম্বর (বুধবার) সকালে মৃত আঃ সাত্তার বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় তার ছেলে কে এম দিনার ও মোঃ জুনায়েদ হাসান বাবার খোঁজে ভোর ৬ঃ০০ ঘটিকায় বিলে যায়।অনেক খোঁজাখুজির পর মরিয়ার ধলা নামক বিলে মৃত অবস্থায় ডাঙ্গা থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে হাটু পানিতে তাদের বাবার লাশ ভাসতে দেখতে পায়।তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসে এবং বারহাট্টা থানা পুলিশে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বারহাট্টা থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ লুৎফুল হক।
এ বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই),নেত্রকোণা ইউনিটের ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং ছায়া তদন্ত করি।তিনি আরোও বলেন মৃত ব্যক্তির সুরতহাল থেকে ধারণা করা হয় যে মৃত আঃ সাত্তার এর গলার হাড় ভাঙ্গা। তবে শরীরের অন্য কোন অংশে মৃত্যু ঘটার মত বড় কোন আঘাত নেই তবে থুতনীর নিচে বামপাশে অল্প আঘাত আছে।
ধারনা করা হয় মৃত আঃ সাত্তারের সাথে মাছ চোর চক্রের এক বা একাধিক ব্যক্তির রাত্রীকালিন মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয় এবং মাছ চোর চক্রকে চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করে।
উল্লেখ্য যে মৃত ব্যক্তির কোমরে বাড়ির চাবি পাওয়া যায় এবং ঘটনাস্থল হতে মৃত আঃসাত্তার এর ব্যবহৃত টর্চ লাইট, কাঁথা ইত্যাদি উদ্ধার হয়।
তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া গেলে আঃ সাত্তারের মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে। জড়িত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের সনাক্ত ও গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান অব্যাহত আছে।
অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ লুৎফুল হক আমাদেরকে বলেন সকাল ৮ঃ০০ঘটিকা সময় আমাদের কাছে ফোন আসে।আমরা তাৎক্ষণিক ফোর্স নিয়ে ৮ঃ২২ ঘটিকায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং পরে পিবিআই নেত্রকোণা ও সিআইডি নেত্রকোণাকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করি।তিনি আরোও বলেন,লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় এখনো লিখিত অভিযোগ হয়নি তবে আমাদের তদন্ত অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :