যৌতুকের বাকি টাকার জন্য গৃহবধূকে নির্যাতন


উপজেলা প্রতিনিধি, ডোমার প্রকাশের সময় : ০৯/১১/২০২২, ২:০৯ অপরাহ্ণ / ১১০
যৌতুকের বাকি টাকার জন্য গৃহবধূকে নির্যাতন

যৌতুকের বাকি মাত্র ৩০ হাজার টাকার জন্য নীলফামারীর ডোমারে স্বামী কর্তৃক গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত পাঁচদিন ধরে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন নির্যাতিতা স্ত্রী লতা আখতার।

ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যাশায়ী নির্যাতিতা স্ত্রী লতা আখতার ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের হলহলিয়া গ্রামের হাজীপাড়া এলাকার কৃষক আমিনুল ইসলামের কন্যা।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৭ই জুলাই পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ পৌরসভার খুটামারা গ্রামের মৃত আবু তাহের এর পুত্র সজীব বাবু (২৭) এর সাথে বিয়ে হয় লতার। বিয়েতে যৌতুক নিধারণ হয় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। যৌতুকের তিন লাখ টাকা পরিশোধ করলেও বাকি থাকে ৩০ হাজার টাকা। সেটিকেই কেন্দ্র করে সজীব বাবু ও তার মা জাহেদা খাতুন (৫৫) দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে লতাকে। এব্যাপারে বেশ কয়েকবার বিচার-সালিশ হয়। এরমধ্যেই তাদের কন্যা সন্তান বহ্নি আখতারের জন্ম হয়। যার বয়স এখন সাড়ে ৩ বছর।

সর্বশেষ গত ৪ঠা নভেম্বর আনুমানিক সকাল ১০টায় বাকি থাকা যৌতুকের ৩০ হাজার টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয় লতার সাথে। একপর্যায়ে স্বামী সজীব বাবু ও শ্বাশুড়ি জাহেদা খাতুন মারধর করতে থাকেন তাকে। মারধরের পাশাপাশি খোন্তা গরম করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দেন তারা। প্রাণভয়ে বিকালে বাবার বাড়ি চলে আসেন লতা। তার পিতা রাতে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

ভুক্তভোগী লতা আখতার বলেন, আমি সেই সংসারে আর ফিরে যেতে চাই না। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। গত পাঁচ বছর নির্যাতনের শিকার হতে হতে আমার জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। আমি বিচার চাই।

রোগীর ব্যাপারে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. পারমিতা রায় জানান, রোগী লতা আখতার যেদিন ভর্তি হয়েছেন তখন তার দুই গালে, গলায় ও পায়ে গরম কিছু দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়ার আঘাত আছে। সে গত শুক্রবার এখানে ভর্তি হয়েছে। এখনও চিকিৎসাধীন আছে।

পত্রিকা একাত্তর/রিশাদ