অবলা নারীদের ফাঁদে ফেলে রমরমা হোটেল ব্যবসা চলছে জাবেদের। আপন নিবাস হোটেল ছাড়াও তার হাতে রয়েছে আরও পাঁচটি হোটেল। সেখানে খদ্দেরের চাহিদা অনুযায়ী নারীদের যোগান দেন। যদিও এ ব্যবসায় পা ফেলে মানবপাচার মামলা কাঁধে নিয়েও দিব্বি অবলা অবিবাহিত নারীদের ফাঁদে ফেলে প্রকাশ্যে চালাচ্ছেন তার হোটেল ব্যবসা।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রচারিত হয়েছে। তবে ঘটনা জানাজানির পর দুইদিন থেকে তিন দিন ব্যবসা বন্ধ থাকলেও আবার ‘যে লাউ সে কদু’। অপরদিকে সংবাদ প্রচারের পর খোঁজ নিয়ে জাবেদ ওই সংবাদকর্মীকে কনভ্যান্স করতে মরিয়া হয়ে উঠেন। অফার করেন মোটা অংকের টাকাও। হোটেল সূত্র জানিয়েছে, নারীদের ফাঁদে ফেলে বাগে আনতে জাবেদের রয়েছে একাধিক লোক ( দালাল)।
তারা কেউ দৈনিক বেতনধারী আবার কেউ মাসিক। মূলত ফয়’সলে’কে ঘুরতে আসা নারীদের রূপকথার গল্পকাহিনী শুনিয়ে প্রেমের ছলনা করে ফোন নাম্বার কালেকশন করে। ধীরে ধীরে যোগাযোগ বাড়িয়ে পরিচয় গোপন রেখে তাদেরই নিদিষ্ট হোটেলে নিয়ে শারীরীক সম্পর্ক শুরু করে।
এসময় রুমে ওপেন রাখা হয় গোপন ভিডিও। পর্যায়ক্রমে ওই ভিডি হাত ঘুরে হোটেল মালিকের হাতে পৌঁছে যায়। এরপর খদ্দেরের চাহিদা মতন তাদেরকে হোটেলে আসতে ফোন করা হয়। প্রথমে আসতে রাজি না হলেও হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও ক্লীপ পাঠিয়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরালের হুমকি দেওয়ার পর রাজী হয়ে যায় নারীরা।
ক্রমান্বয়ে হোটেল ব্যবসায় তাদের পথচলা শুরু হয়। এতে হোটেল মালিক ও দালালরা লাভবান হলেও লোকসানে থাকে ওই ধরনের নারীরা। তাদের শুধু মনে ভয়, ভিডিও ক্লীপ নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হলে কি হয় কি হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অত্র এলাকায় দেহ ব্যবসার নাটের গুরু জাবেদ। থানা পুলিশ-স্থানীয়দে মাসোয়া’রা দিয়ে ব্যবসা চালান তিনি। জাবেদের বিরুদ্ধে মানবপাচারকারী অভিযোগে খুলশী থানায় ২০২১ সালে দুটি ও চলতি বছর একটি মামলা রয়েছে।
এরপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলে বহাল তবিয়্যতে চলছে তার ব্যবসা। এদিকে জাবেদের এই হোটেল ব্যবসার সংবাদ প্রচারের পর সংবাদকর্মীদের লোভনীয় অফার দিয়ে বিকাশ মারফতে যে নাম্বার থেকে টাকা পাঠানো হয়, সেটি এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
ফোন নাম্বার নিয়ে ওই নম্বর থেকে টাকা পাঠায় আরেকজন। বিকাশের ওই নাম্বারে ফোন করলে জানা যায়, জাবেদ ভাইয়ে ফোন নাম্বারটি দিয়েছেন টাকা পাঠানোর জন্য। কিসের টাকা বিকাশে পাঠান, জানতে চাইলে আপন নিবাস হোটেল মালিক জাবেদ বলেন, না তেমন কিছুনা, সামান্য খরচের টাকা। নারীদের ফাঁদে ফেলে ব্যবসা করানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো সব মিথ্যা।
পত্রিকা একাত্তর / নিজস্ব প্রতিনিধি
আপনার মতামত লিখুন :