সকলের সহযোগিতায় অবশেষে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ছাতিয়ানগড় গ্রামের দিনমজুর পরিবারের সন্তান স্কুল ছাত্র নাজমুলের অপারেশন করা সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা.অসিত চন্দ্র সরকারের তত্বাবধানে নিউরোসার্জনদের একটি টিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ৬ ঘন্টা সময় ব্যয় করে এই অপারেশনটি সম্পন্ন করেন।
এ টিমের অন্যতম প্রধান ছিলেন, খানসামা উপজেলার কৃতি সন্তান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা.নারায়ন চন্দ্র রায় জয়। এছাড়াও সহযোগী হিসেবে টিমে ডা.উজ্জ্বল সাধুখা,ডা.রথিন হালদার,ডা.সামির রেজওয়ান প্রমূখ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা.নারায়ন চন্দ্র রায় জয় বলেন,ব্রেইন টিউমারের একমাত্র চিকিৎসা অপারেশন এবং প্রয়োজন এ অপারেশন পরবর্তী রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি। জানা যায়, নাজমুলের বাবা ছিল একজন দিনমজুর। মানুষের বাড়িতে কাজ করেই কোনমতে চলে তার ৭ সদস্যের পরিবার। টাকার অভাবে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না।
ফলে ছেলেকে বাঁচাতে চেষ্টার কখনোই কোন ত্রুটি রাখেননি তিনি। ছেলেকে বাঁচানোর জন্য তিনি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেন। সেগুলো সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুক, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ জাতীয় দৈনিকে নাজমুলকে নিয়ে চলে একেরপর এক প্রকাশিত প্রতিবেদন।
ফলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকে। এ জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তার পরিবার। নাজমুলের বাবা এলাহী বকস বলেন, আমার ছেলেকে বাঁচাতে যারা বিভিন্নভাবে আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন তাদের সবারে প্রতি আমরস কৃতজ্ঞতা রইল, এবং যে সকল অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসকগণ সুন্দরভাবে আমার ছেলের জটিল অপারেশন সম্পন্ন করেছেন বিশেষ করে হামার খানসামা উপজেলার ছেলে ডা.নারায়ন চন্দ্র রায় জয় সে আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছেন, আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে আরো অনেক বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডাক্তার হিসেবে দেশের সর্বত্র পরিচিতি লাভ করে আমার মতো গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন।
আর আমার ছেলে নাজমুলের জন্য এখনও সবার কাছে দোয়া কামনা করছি সে যেন দ্রুত সুস্থ্য হয়ে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।
পত্রিকা একাত্তর / আজিজার রহমান
আপনার মতামত লিখুন :