প্রকৃতিতে বইতে শুরু করেছে শীতের আমেজ। রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় এখনই বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের শুরুতেই রাস্তার মোড়ে মোড়ে জমে উঠেছে পিঠার দোকানগুলো। এসব পিঠার দোকানে ভিড় করছেন পিঠাপ্রেমী নানা বয়সী মানুষ। দোকানিরাও পার করছেন ব্যস্ত সময়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গঙ্গাচড়া উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাজারে রিকশাভ্যানে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে সন্ধ্যার পর থেকেই ভিড় করছেন তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষ। অনেকেই আবার এসব পিঠা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। পিঠার দোকানে কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়।
তারা জানান, বাড়িতে এত সব পিঠা তৈরি করার ঝামেলা এড়াতেই দোকানের পিঠা খাচ্ছেন এবং বাড়িতেও নিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামীণ ঐতিহ্যের অনেক কিছুই এখন বিলুপ্তির পথে কিন্তু বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র আছে যা বাঙালিরা কখনো বিলুপ্তি হতে দেয়নি। তারই একটি অংশ হলো শীতের এই পিঠা।
বড়াইবাড়ি বাজারে সড়কের পিঠা দোকানি আব্দুর রহমান বলেন, সকালে এবং সন্ধ্যায় শীতের আভাস দেখা দিয়েছে। তাইতো মানুষ লম্বা সারি বদ্ধ হয়ে পিঠার দোকানে ভিড় জমাচ্ছে। তারা নানা ধরণের মুখরোচক পিঠা খাচ্ছেন এবং সময়টাকে উপভোগ করছেন। শীত যত বাড়বে পিঠা তৈরির ব্যস্ততা এবং চাহিদাও বাড়বে।
বিশেষ করে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই সিদ্ধ ডিম, চিতই পিঠা, নারিকেল আর গুড়ের সঙ্গে ভাপা পিঠা, ডিম পিঠার অতুলনীয় স্বাদ গ্রহণ করছেন তারা। তারা এসব পিঠা খাচ্ছেন ঝাল চাটনি, ধনে পাতার চাটনি, সরিষার চাটনি কিংবা খেজুরের গুড় দিয়ে।
পত্রিকা একাত্তর/ সানজিম মিয়া
আপনার মতামত লিখুন :