জমি নিয়ে প্রতিবেশির সাথে ঝগড়া বিবাদের জেরে গত শুক্রবার থানা পুলিশ উপজেলার কেউটান গ্রামে গিয়ে উভয় পক্ষকে বিচার শালিসের কথা বলেন।
তারই পরিপেক্ষেতে শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকালে হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে বিচার শালিস হওয়ার কথা ছিল। তার পূর্বেই প্রমিলা রাণীর মৃত্যু হওয়ায় আর শালিস করা হলো না ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কেউটান গ্রামে তিলক রায়ের পরিবারের সাথে একই গ্রামের মনসিংহ (কাচালু)’র পরিবারের সাথে ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
রাণীশংকৈল থানার এ এসআই নুর আলম রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় তিলকের স্ত্রী প্রমিলা রাণী (৪৮) অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে তাকে চিকিৎসা করেন তার বাড়ির লোকজন।
রাতভর বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করেও প্রমিলা রাণীর কোন উন্নতি না হওয়ায় ভোরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এনিয়ে প্রমিলার স্বামী তিলক রায় বাদী হয়ে মনসিংহ (কাচালু) ও তার ভাই পরেশ রায়সহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
থানা পুলিশ অভিযুক্ত দুইজনকে শনিবার গ্রেপ্তার করে পরদিন রবিবার জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার বাদি তিলক চন্দ্র বলেন, মনসিংহ (কাচালু) সহ তার লোকজন আমার ছেলে ও স্ত্রীকে মাথার চুল ধরে বেধড়ক পিটিয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পরে আমরা সবাই রক্ষা পাই। মারপিটের কারণেই আমার স্ত্রী প্রমিলা রাণী মারা যায়। তাছাড়া এই মারপিটের ঘটনার হোসেনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান শনিবার বিকালে ইউপি কার্যালয়ে বিচার শালিস ডেকে ছিলেন।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মুঠোফোনে জানান, শনিবারে ইউপি কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে শালিসে ডাকা হয়েছিল । কিন্তু রাতেই প্রমিলা রাণী মারা যাওয়ার কারণে আর শালিস করা সম্ভব হয়নি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনের নামে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।
পত্রিকা একাত্তর/ আনোয়ার হোসেন
আপনার মতামত লিখুন :