যশোরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর রাজগঞ্জ অফিসের অধীনে কর্মরত ইলেক্ট্রিশিয়ান মিজানুর রহমান মিঠুকে সাময়িকভাবে বাদ দেয়া হয়েছে। রামনাথপুর ঋষি পাড়ায় ৮০ হাজার টাকার চুক্তিতে ১৮ হাজার টাকা গ্রহণ করে কেশবপুর থেকে অনৈতিক পন্থায় তিনটি খুটি এনে সেই খুটি রামপুরে পুতে দেয়। অথচ এতো বড় একটি ঘটনায় অফিসে কোন আবেদন বা দায়িত্বশীল কেউ কিছু জানেননা।
তবে এমন গুরুতর অভিযোগ পেয়ে অফিসের পক্ষ থেকে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মিঠুকে শোকজ ও গুরুতর ঘটনা তদন্তে তিনি সদস্যদের কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটির কাছে মিঠু নিজের দোষ স্বীকার করে লিখিত জবানবন্দি দিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে তার সহযোগীদেরকে অফিসার সাজিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অহরহ অভিযোগ রয়েছে।
অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা মিঠু কর্তৃক অনৈতিকভাবে আদায়ের অর্থের ভাগ নিয়ে ইতিপূর্বে ২/৩ দফা তাকে রক্ষা করেছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। এবারের ঘটনায়ও মোটাংকের টাকার লেনদেন হতে পারে বলে প্রচার চলছে। বর্তমানে মিঠু স্বাক্ষরিত কোন রিপোর্টে কোন সংযোগ দেয়া হচ্ছেনা বলে জানা গেলেও অভিনব কৌশলে সে ঠিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অন্য কয়েকজন ইলেক্ট্রিশিয়ানের স্বাক্ষরে অফিসের আশে পাশে ঘুর ঘুর করছে।
তার কাছে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের জন্য অসংখ্য মানুষ টাকা পাবে এবং নতুন করে কাজ নেয়ার চেষ্টা করলে কেউ প্রতারিত যাতে না হয় সেজন্য অফিসের এক কর্মকর্তা জনগণকে সতর্ক করেছেন। বিদ্যুৎ এর নাম করে নেয়া জনগণের বিপুল পরিমাণ টাকা মূলত যেসব খাতে মিঠু ব্যয় করেছে তার শীর্ষ খাতের ছবিসহ পরবর্তী প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে।
পত্রিকা একাত্তর / কে, এম, মোজাপ্ফার হুসাঈম
আপনার মতামত লিখুন :