নকল বিড়ি উৎপাদন, বিক্রি ও কারখানা বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন মম কুষ্টিয়া বিড়ি মালিক সমিতি ও বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন। একই সঙ্গে কাস্টমস অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে তারা। বৃহস্পতি (৩ নভেম্বর) কুষ্টিয়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন বিড়ি মালিক সমিতি ও শ্রমিক নেতারা।
মানববন্ধন শেষে কুষ্টিয়া কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের উপ কমিশনার বরাবর ছয় দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়। দাবিগুলো হলো- নকল বিড়ি ও নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি বন্ধ, শুল্ক ফাঁকি দেওয়া অবৈধ বিড়ি কারখানা বন্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে, বিড়ির ওপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, অনলাইনে লাইসেন্স দেওয়া বিড়ি মালিকদের থেকে রাজস্ব আহরণে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া, শ্রমিকদের সপ্তাহে ছয়দিন কাজের ব্যবস্থা এবং তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রান্তিক ব্যবসায়ী ও দোকানিদের পরিবর্তে শুধুমাত্র ডিলারদের লাইসেন্সের আওতায় আনা।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সহ সভাপতি নাজিম উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম.কে বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কিছু অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ী নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে প্রতি প্যাকেট ১৮ টাকা মূল্যের বিড়ি আট থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে আর প্রকৃত রাজস্ব দেওয়া বিড়ি শিল্প মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে তারা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে।
আর শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাই এই শুল্ক ফাঁকি দেওয়া অবৈধ বিড়ি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এসময় বক্তারা নকল বিড়ি ও জাল ব্যান্ডরোল প্রতিরোধে সব ধরনের পান বিড়ির দোকানে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অভিযান পরিচালনার দাবি জানান।
পত্রিকা একাত্তর / আনোয়ার হোসেন
আপনার মতামত লিখুন :