patrika71
ঢাকারবিবার , ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  1. অনুষ্ঠান
  2. অনুসন্ধানী
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. ইসলাম
  8. কবিতা
  9. কৃষি
  10. ক্যাম্পাস
  11. খেলাধুলা
  12. জবস
  13. জাতীয়
  14. ট্যুরিজম
  15. প্রজন্ম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হসপিটালে কিশোরের মৃত্যু, স্বজনদের দাবী চিকিৎসায় গাফেলতি

চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩ ৭:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী ন্যাশনাল হসপিটালের চিকিৎসকের গাফেলতির কারণে এমদাদুল ইসলাম মেজবাহ (১৬) নামে ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটেছে। পরবর্তীতে হসপিটাল কতৃপক্ষ ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে টাকার বিনিময়ে সমঝোতা হয় বলে জানা যায়। ৯ আগস্ট রবিবার সকালে দোহাজারী পৌরসভার দোহাজারী ন্যাশনাল হসপিটালে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, শনিবার বিকেলে গায়ে জর নিয়ে দোহাজারী ন্যাশনাল হসপিটালে চিকিৎসা নিতে এসে ভর্তি হয় খাগরিয়া ১নং ওয়ার্ড মাজার পাড়া ইসলাম মিয়ার একমাত্র ছেলে মেজবা। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: যীশু নাথ রাতে ডেঙ্গু ও ম্যারিলিয়া পরীক্ষা দিলে পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। পরদিন রবিবার সকালে রোগীর শ্বাসকষ্ট অনুভব হলে স্বজনরা নার্সদের অক্সিজেন দেওয়ার জন্য অবহিত করেন।

উপযুক্ত নার্স ও ডাক্তার না থাকায় অবহিত করার চল্লিশ মিনিট পরেও রোগীকে অক্সিজেন দিতে না পারায় মৃত্যু ঘটে বলে জানায় স্বজনরা। ঘটনার পর উত্তেজিত রোগীর স্বজনরা দোহাজারী ন্যাশনাল হসপিটালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে চন্দনাইশ থানা পুলিশ তৎক্ষনাৎ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা যায়, রোগীর স্বজন ও হসপিটাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি সমঝোতায় হয়।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেছেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই বিষয়ে মৃত মেজবাহের স্বজনদের থানা অভিযোগ করতে বললে ও তারা অভিযোগ করেনি।

এ ব্যাপারে ডিউটি ডাক্তার আরাফাত বিন সোলাইমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সকালে ডিউটিতে এসে ভর্তিরত রোগীর অবস্থার কথা জানতে পেরে তৎক্ষনাৎ তার পালস চ্যাক করি তখন সে মৃত্যু অবস্থায় ছিলো। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তখনকার ডিউটি ডাক্তার যীশু নাথের উপর চাপিয়ে দিয়ে তৎক্ষনাৎ সে প্রেস ব্রিফিং স্থান ত্যাগ করেন। ডা:যীশু নাথের সাথে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পত্রিকা একাত্তর /ইসমাইল ইমন