চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার জালালাবাদ টাওয়ার সংলগ্ন আন্ধার মানিক এলাকায় সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছে।
মাদক ব্যবসায়ীরা সংগঠিত হয়ে ২০-২৫ জনের একটি দল লাগাতার হামলা চালিয়ে ৩০টির অধিক আধা পাকাও কাঁচা ঘর ভাঙচুর করে। ২১ জুলাই (শুক্রবার) বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত এই সন্ত্রাসী হামলা সংঘটিত হয়। মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় আহত পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীরা বিকাল তিনটার দিকে স্থানীয় বরই বাগান এলাকায় স্থানীয় একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ঘরে হামলা চালিয়ে তার ছেলে আতাউল্লাহ হায়দার তার শাশুড়ি রাজু আক্তার, খালু মাহমুদুল হক, রায়হানা বেগমকে ধারালো অস্ত্র ও হকিস্টিক দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
আতাউল্লা হায়দার চট্টগ্রাম ১০ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনে ওয়ার্ড সমন্বয়ক হিসাবে কাজ করছেন। পরবর্তীতে সন্ত্রাসী লাগাতার হামলা চালিয়ে পাশ্ববর্তী আন্ধার মানিক এলাকায় হামলা চালিয়ে ৩০ টির অধিক কাঁচা আধা পাকা ঘর ভাঙচুর করে। আকতার, মনাকে পিটিয়ে আহত করে। আহতরা জানান মাদক ব্যবসায়ী জব্বর ভান্ডারীর পুত্র আদর, সফদর আলীর পুত্র কামাল প্রকাশ সিডি কামাল, ফারুক, মিজান, জসীম, আলাউদ্দিন, নুর হোসেন, উজ্জল কবির হোসেন, পারভেজ সাইফুল চুন্ন মিয়া পুত্র পারভেজ মজনু, মিজান। এরা সবাই বিএনপি নেতা এস কে খোদা তোতনের দলীয় কর্মী।
সংবাদ পেয়ে সিএমপি বায়েজিদ সার্কেলের এসি বেলায়ত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এর পূর্বে বায়েজিদ থানার ওসি সন্তোষ চাকমার নির্দেশে এসআই নুরুল আলম ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার বিষয়ে সার্কেল এসি বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।
প্রসঙ্গত মাদকসেবি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গত এক মাসে খুলশি থানা এবং আদালতে তিনটি মামলা হয়েছে। খুলশি থানা পুলিশ আদর ও আলাউদ্দিন নামে দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। আদালত থেকে জামিনে মুক্তি হওয়ার পর আজকে বড় পরিসরে এই হামলা চালানো হয়।
এরা দিনে বিভিন্ন গোপন স্থানে চুপ করে থাকে রাত্রি পাহাড়ের চূড়ায় মানুষের ঘর দখল করে প্রকাশ্যে মদের আসর বসায়। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় জনগণ এই গাঁজা সেবনের দুইটি আস্তানা ভেঙে দিলে শুক্রবার সকাল মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে এই হামলা চালায় বলে আহত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
পত্রিকা একাত্তর/ ইসমাইল ইমন