এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বন বিভাগের অনুমোতি ছাড়াই সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউপি সদস্য সড়কের দুই পাশে লাগানো ১২টি গাছ কেটে তা বিক্রি করে ৪ লাখ টাকা পকেটে ভরেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য কাজেম উদ্দিনের নেতৃত্বে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী করাত দিয়ে মাদিলা ভেদুর মোড়-বাঁধের হাট সড়কের বেনিপুর ও জয়পুরা এলাকায় গ্রামীণ সড়কের দুই পাশে লাগানো মোট ১২টি মেহগিনি, নিম ও বাবলা গাছ কেটে ফেলেন। সড়কের পাশে গাছগুলো থাকার কারণে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হওয়ায় তা কাটা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ওই ইউপি সদস্য। তবে বন বিভাগের কোনো প্রকার অনুমোতি না নিয়ে ইউপি সদস্য কাজেম উদ্দিন অবৈধভাবে গাছগুলো কেটে ফেলেন। পরে স্থানীয় এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে গাছগুলো বিক্রি করেন ইউপি সদস্য কাজেম উদ্দিন। প্রায় ৪ লাখ টাকা পকেটে ভরেন বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উদ্যোগে নরদাশ ইউনিয়নের মাদিলা ভেদুর মোড় থেকে বাঁধের হাট পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে এই গাছগুলো লাগানো হয়েছিল। গাছগুলো সড়কের পাশে থাকায় কোনো সমস্যা ছিল না। বরং সড়কের ছায়াসহ শোভাবর্ধন করছিল। অথচ ইউপি সদস্য কাজেম উদ্দিন গাড়ি চলাচলে সমস্যা হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম আবু সুফিয়ান বলেন, স্থানীয় লোকজন এ ঘটনায় মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে। তবে নরদাশ ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার আবুল সড়কের গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেছেন, গাছগুলো অনেক আগেই মরে গিয়েছিল। তাই সেগুলো কাটা হয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর/ রবিউল ইসলাম