হাড়ি ভাংতে এগিয়ে এসেছেন শামসু প্রামানিক নামের ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যাক্তি । তার পিছনে আছেন ৪৫ থেকে ৭০ বছর বয়সী অন্তত আরো ২০ জন। হাড়িভাঙ্গা ছাড়াও আরও ১৬ ধরনের বিনোদনমূলক খেলাধুলার আয়োজন করেন শেরপুর উপজেলার হুসনাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘হুসনাবাদ নবজাগরণ সংঘ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
অনুষ্ঠানটি সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল আল মামুনের সঞ্চালনায় ও জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল ওহাব, সাবেক চেয়ারম্যান, খামারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ।
এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রঙের পোশাক আর নিজের মতো করে বিভিন্ন সাজসজ্জায় নারী, পুরুষ, যুবক ও শিশু সকলেই বিভিন্ন গ্রুপে অংশ নিয়েছেন যেমন খুশি তেমন সাজো আয়োজনে । এছাড়াও মজার খেলা গুলোর মধ্যে রয়েছে জামাই-শশুর রশি টানাটানি, শিশু, মেয়ে ও বয়স্কদের দৌড় প্রতিযোগিতা, মেয়েদের রশি খেলা, গরম আলু, সুইয়ে সুতা লাগানো, বিস্কুট খাওয়া, সাঁতার, ফুটবল ইত্যাদি।
গ্রামের তরুণ সংগঠক সোহাগ রায় বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখতে সংগঠনের এমন আয়োজন খুবই প্রশংসার দাবি রাখে। সেই সাথে পরিবেশের এমন খারাপ সময়ে প্রতিটির পুরষ্কার হিসেবে বৃক্ষ বিতরণ করা সময়োপযোগী আয়োজন বলে মনে করি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলিম হোসেন বলেন, বিগত ১৩ বছর থেকে আমরা প্রতিবছর কোরবানি ঈদের পরের দিন এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করি । ঈদের আনন্দ কে পরিপূর্ণ করতে প্রতিবছর এই আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনে শুধুমাত্র হুসনাবাদ নয় পাশের আরো তিন-চারটি গ্রামের মানুষ অংশগ্রহণ করে থাকে।
সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল আল মামুন জানান, গ্রামের উন্নয়নের জন্য ২০১০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হতে সংগঠনের অগ্রযাত্রা শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রায় ৪০ জনের মত গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা করা হয় এবং শিক্ষার হার বাড়াতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করা হয়। এছাড়াও যুবসমাজ যেন মাদকের ভয়াল আগ্রাসে পরিণত না হয় এজন্য বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর/ মাসুম বিল্লাহ