নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ মুছাপুর ক্লোজারঘাট এলাকায় নববধুকে নিয়ে স্বামী ঘুরতে এসে গণধর্ষণের ঘটনায় ২জন ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২০জুন (মঙ্গলবার) রাত ১২টার দিকে মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মৌলভী বাজার নামক এলাকা থেকে মামলার ২নং ও ৩নং আসামী রিয়াদ হোসেন (৩০) ও জালাল উদ্দিন মিষ্টার (২৮) কে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আটক করে। কোম্পানীগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের একরামুল হকের ছেলে নৌকার মাঝি রিয়াদ হোসেন ও একই ওয়ার্ডের আলা উদ্দিনের ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন মিষ্টার।
উল্লেখ্য গত বুধবার ১৪ জুন সকালে নোয়াখালীর সুধারাম থানা এলাকা থেকে মোটর সাইলে যোগে মুছাপুরের রেগুলেটর এলাকা ঘুরতে যান এ নব-দম্পতি। তারা সুইস গেইট এলাকার পূর্ব দিকে বন বিভাগের বাগানের পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিলেন। এসময় জাহাঙ্গীর, রিয়াদ ও মিষ্টার দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদেককে ভয়ভীতি দেখায়। এরপর বাগানের ভিতরে নিয়ে গিয়ে স্বামীকে গামছা দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রেখে নববধুকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ধর্ষণের ঘটনায় গত রোববার ১৮ জুন স্বামী বাদী হয়ে ৩জনকে আসামী করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।
মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান, দুই ধর্ষককে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী আটক করে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম উপস্থিত হয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাদেকুর রহমান জানান, মামলা হওয়ার পর পুলিশ ওই এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালায়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। মামলার ১নং আসামী জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পত্রিকা একাত্তর/ আবু সাঈদ