নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১ টি চোরাই গরু ও চুরিতে ব্যবহৃত ১ টি হ্যান্ডট্রলিসহ ২ চোরকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার ভোরে রামপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাঞ্ছারাম বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, রামপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের তোফাজ্জল হকের ছেলে মো.ওমর (২৪) ও চর কাঁকড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের আলা উদ্দিনের ছেলে সালা উদ্দিন (২২)।
পুলিশ সূত্র জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন চরফকিরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ নুর আলমের বসত ঘরের দক্ষিণ পার্শ্বের গোয়াল ঘরের সামনে ভোর রাতে ফজরের নামজের জন্য ঘুম থেকে উঠে তার গরুটি দেখতে না পেয়ে এদিক ঐদিক ছোটাছুটি করার একপর্যায়ে বাড়ীর পার্শ্বের জমিতে গরুর পায়ের চিহ্ন দেখে তার গরুটি চুরি হয়েছে সন্দেহ করে। আশপাশের লোকজনকে ফোন করে সংবাদ দেয়।
তারপর ভোর ৫টার সময় রামপুর ইউনিয়নের বাঞ্চারামপুর এলাকায় স্থানীয় লোকজন একটি গাভী গরু হ্যান্ড ট্রলি গাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার সময় ২জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দাঁড় করিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ও মামলার বাদী রফিক উল্যাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রফিক উল্যাহ তার গরুটি সনাক্ত করে। তাৎক্ষনিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামীরা বাদী রফিক উল্যাহর গরু চুরি করার কথা স্বীকার করে।
আটককৃত আসামীদ্বয় আরো জানায়, চরকাঁকড়া, ৭নং ওয়ার্ড (বৈদ্য বাড়ীর)কসাই তোকন বেপারি তাদেরকে উক্ত গরুটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাঠায়। সে ড্রাইভার সালাউদ্দিনকে উক্ত ট্রলি গাড়ীটি সহ গরু বহন করার জন্য ভাড়া করে দেয়। পুলিশ উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় উদ্ধারকৃত গরু এবং উক্ত গরুটি বহন কাজে ব্যবহৃত হ্যান্ড ট্রলিটি উদ্ধার করে জব্দ করে। পরবর্তীতে কসাই তোকন বেপারীকে গ্রেফতারের জন্য তাহার বর্নিত ঠিকানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সম্ভাব্য সকল স্থানে অভিযান শেষে তাকে না পেয়ে বাদীর এজাহারের ভিত্তিতে উক্ত গরু চুরি ও চোরাই গরু নিজ হেফাজতে রাখার ঘটনায় জড়িত ০৩জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানার মামলা নং— ধারা—৩৭৯/৪১১/১০৯ দঃবিঃ রুজু করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাদেকুর রহমান জানান, গরু চুরির দায়ে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়।
পদত্রকা একাত্তর/ আবু সাঈদ