লোহাগড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন।
শনিবার (১০ জুন) বেলা ১১টার দিকে স্কুলের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আয়োজনে এ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আল্পনা মন্ডল, সহকারী শিক্ষক খান আশরাফুল হাবিব, কার্ত্তিক চন্দ্র দে, শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান, তানিয়া সুলতানা প্রমুখ।
বক্তারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার দ্রুত বিচার, শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের নিরাপত্তা এবং বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশের দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য গত ৭ জুন অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রেয়া অপ্সরা তার বান্ধবীর খাতা দেখে পরীক্ষা দিচ্ছিল।
বিষয়টি নজরে আসার পর শিক্ষক সাইফুল ইসলাম অপ্সরাকে উঠিয়ে অন্যত্র বসালে এ ঘটনা জানা জানির পর অপ্সরার বাবা সুফিয়ান শেখ ও দাদা আয়ন উদ্দীন শেখসহ ৪ /৫জন বিদ্যালয়ে এসে কিছু বুঝে উঠার আগেই শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে কিল-ঘুষি, লাথিসহ পেটানো শুরু করেন। প্রাণ ভয়ে দৌঁড়ে প্রধান শিক্ষকের অফিসে আশ্রয় নেই। সেখানে গিয়েও তাকে মেরে গুরুতর আহত করে।
পরে তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নাকি পরীক্ষা
চলাকালীন সময়ে ছাত্রী শ্রেয়া অপ্সরার সাথে অদাচারণ বলেছেন এবং এর আগেও করতেন।
লোহাগড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শ্রেয়া অপ্সরা পিছনের বেঞ্চে বসা অন্য এক ছাত্রীর খাতা দেখাদেখি করলে শ্রেয়া যে বান্ধবীর খাতা দেখছিল তাকে সরিয়ে অন্য বেঞ্চে বসিয়ে দেই। এর বাইরে আর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ, বি, এম কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় শনিবার (১০জুন) বিকেলে স্কুল মিলনায়তনে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পত্রিকা একাত্তর/ হাফিজুল নিলুু