দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “দক্ষিণ গাছবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’র পরিচালনা কমিটির সভাপতির অনিয়ম দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে ও অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করে স্থানীয় এলাকাবাসী ও এলাকার সচেতন জনসাধারণ ।
১০ জুন শনিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে দুর্নীতি বিরোধী নাগরিক সমাজ চন্দনাইশ উপজেলা শাখা ও চন্দনাইশ দক্ষিণ গাছবাড়িয়ার সচেতন জনসাধারণের ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মোঃ হেলাল উদ্দিন’র (পীড় ভাই) সঞ্চালনায় ও মোঃ আব্দু শুক্কুর সায়েমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি বিরোধী নাগরিক সমাজ চন্দনাইশ উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিষ্টার ফারুক উদ্দিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার ও কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জানে আলম, তৌহিদ ইসলাম, উম্মে হাবিবা আয়মন,মিফতাহুল জান্নাত ও সনজিদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন চন্দনাইশের ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ গাছবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী মোঃহোসাইন আহমেদ সরকার দলীয় নেতা পরিচয়ে প্রভাব বিস্তার করে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অনিয়ম করে যাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম অভিযোগ হলো, ডিসি অফিস কর্তৃক ৫০ হাজার টাকা অনুদানের প্রথম কিস্তি জমা হবার পরেও কমিটির সবার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিজ নামে ব্যাংক হিসেবের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করা, বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের কথা বলে বর্তমানে স্থানীয় সাংসদ থেকে তিন টন বরাদ্দ পাওয়া চাউল কমিটির কাউকে না জানিয়ে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করা, বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকার কর্তৃক এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ হওয়া সেই টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা উত্তোলনের বিষয়ে একমত হলে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষিকার সমন্বয়ে কাজ করার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের নামে যৌথ ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে সেই মুহূর্তে সভাপতি ও পরিচালনা কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান ওৎপেতে বসে থাকে ব্যাংকে চেক উপস্থাপন করতে গেলে সভাপতি বলেন টাকা উত্তোলনের পর তার হাতে টাকা না দিলে জোর করে ছিনিয়ে নেওয়া হবে ও জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষিকা টাকা উত্তোলন না করে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট অভিযোগ দিতে যাওয়ার প্রাক্কালে সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান বাঁধা প্রদান করে এবং সোজাসুজি বাসায় চলে যেতে বলে।
এছাড়াও বিদ্যালয়ের রংয়ের কাজ করানোর কথা বলে কমিটির অগোচরে টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন দুর্নীতির সাথে জড়িত হয়ে বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী মোঃহোসাইন আহমেদ।
বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগের সময়ে উন্নয়ন্মুখী সরকারের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ালেখা পরিবেশ নিয়ম নীতি ধ্বংস করছে এবং উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী মনে করছেন এলাকার স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।
পত্রিকা একাত্তর/ ইসমাইল ইমন