patrika71
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৮ জুন ২০২৩
  1. অনুষ্ঠান
  2. অনুসন্ধানী
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. ইসলাম
  8. কবিতা
  9. কৃষি
  10. ক্যাম্পাস
  11. খেলাধুলা
  12. জবস
  13. জাতীয়
  14. ট্যুরিজম
  15. প্রজন্ম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সন্ত্রাসীদের হুমকিতে দেশে ফিরতে পারছেন না এক প্রবাসী

জেলা প্রতিনিধি, জামালপুর
জুন ৮, ২০২৩ ৯:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জামালপুরের মাদারগঞ্জে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক প্রবাসীর বসতবাড়িতে ডাকাতি, লুটপাট ও প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে এসব ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক ভূমিকা পালন করায় প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তান। দেশে ফিরতে পারছেন না মালয়েশিয়া প্রবাসী মিষ্টার খান।

মাদারগঞ্জের গাবের গ্রামের মিষ্টার খানের স্ত্রী শিরিনা বেগম আজ দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, তার স্বামী গত ১৬ বছর ধরে মালয়েশিয়া প্রবাসী। তার একমাত্র পুত্রকে নিয়ে স্থানীয় বালিজুড়ি বাজারে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। চর সুখনগরী গ্রামের মৃত শাহার উদ্দিনের পুত্র সুদের কারবারি সাফুল মিয়া প্রবাসীর স্ত্রী শিরিনাকে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও স্বামীর পাঠানো টাকা তার কাছে জমা রাখতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় ওই প্রবাসীর বাসায় ডাকাতি করে সাফুল মিয়া। এরপর প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানের উপর হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এসব ঘটনায় থানায় মামলা হলে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে। গত তিনমাস ধরে গৃহবধূ শিরিনা বেগম নিজ উপজেলা ছেড়ে অন্য উপজেলায় এবং একমাত্র পুত্র সন্তানকে জেলার বাইরে পাঠিয়ে পলাতক জীবন যাপন করছেন। স্ত্রী-সন্তানের এমন দুর্দিনেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না প্রবাসী মিষ্টার খান।

সংবাদ সম্মেলনে শিরিনা বেগম আরো অভিযোগ করেন, তিনমাস ধরে পালিয়ে বেড়ালেও গত ৫ জুন পুত্রসহ তার নামে চুরির সাজানো মামলা দিয়েছে প্রভাবশালীরা।

স্বামী-সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরা এবং প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিরিনা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে শিরিনার চাচা আকবর আলী খান ও হায়দার আলী খান উপস্থিত ছিলেন।

লিখিতভাবে জানালে পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ মাহবুবুল হক।

পত্রিকা একাত্তর/ সোহাগ হোসেন