ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নে ফ্যামিলী কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি’র পণ্য পরিষদ প্রাঙ্গনে ৬ জুন মঙ্গলবার যাচাই-বাচাই পূর্বক পুরাতন কার্ডধারীদের মাঝে বিক্রয় করা হয়।
সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে অত্র ইউনিয়নে পুরুষ-মহিলা ফ্যামিলী কার্ডের সংখ্যা ১৫২২ টি। সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এবিক্রয় কাযর্ক্রম চলে। প্রতি লিটার সয়াবিন ১১০ টাকা এবং প্রতি কেজি ডাল ৭০ টাকায় ২ লিটার সয়াবিন ও ২ কেজি ডাল ৩৪০ টাকায় বিক্রয় করা হয়।
উল্লেখ্য ৫ জুন সোমবার এ পুণ্য বিক্রয় করার তারিখ নির্ধারন ছিল। কিন্ত সরকারী নির্দ্দেশনা না মেনে ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার মো শাহজাহান নতুন কার্ড বিতরন করায় সোমবার বঞ্চিত কার্ডধারীরা টিসিবি’র পুণ্যবাহী ট্রাক ইউনিয়নের মেসিডেন্গী নামক স্থানে ট্রাকের গতিরোধ করে আটকিয়ে রাখে। খবর পেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে পুণ্যবহনকৃত ট্রাকটিকে উপজেলা পরিষদে ফিরিয়ে নেন। ইউনিয়নের সকল মেম্বার ও ডিলারকে নিয়ে ওইদিন বিকালে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আলোচনার মাধ্যমে পরাতন কার্ডধারীেদর মাঝে তালিকা যাচাই-বাচাই পূর্বক পুণ্য বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্তেই মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে পুণ্য বিক্রয় করা হয়।
ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন সোমবার টিসিবি কার্ড বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহন করায় ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ শাহাজাহান মিয়ার প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে বিক্ষোভ করেন বঞ্চিতরা। আজ মঙ্গলবার পুরাতন তালিকা যাচাই করে পণ্য বিক্রয় করা হয়।
ত্বহা এন্টাপ্রাইজের প্রতিনিধি মো: সেলিম মিয়া জানিয়েছেন পুরাতন কার্ডধারীদের বাদ দিয়ে নতুন কার্ড বিতরণ করায় সোমবার বাদ পড়া বিক্ষুব্দ লোকজন টিসিবি পণ্যবাহী ট্রাক আটক করায় সোমবার আমরা পুণ্য বিক্রি করতে পারি নাই। এতে আমাদের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন জনপ্রতিনিধিদের হাতে টিসিবি পণ্য বিক্রয় কর্মসূচী তদারকির দায়িত্ব দেয়ায় প্রায় সময়ে এ উপজেলায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
তদারকি কর্মকর্তা একাডেমিক সুপার ভাইজার কমল রায় জানিয়েছেন তালিকা যাচাই- বাচাইয়ের মাধ্যমে টিসিবির পূণ্য বিক্রিতে কোন সমস্যা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফোজিয়া নাজনীন জানিয়েছেন টিসিবি কার্ডের নাম পরিবর্তন বা কর্তনের বিষয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির কোন প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ হুমায়ুন কবির