জামালপুর দেওয়ানগঞ্জে পাররামরামপুর মন্ডলপাড়া গ্রামে নিখোঁজের একদিন পর পুকুরে কাঠের গুড়ি দিয়ে চাপা দেওয়া অবস্থায় মোঃ রমজান আলী(৭)নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত শিশু ওই এলাকার মাসুম মন্ডল ও রেনুকা আক্তারের ছেলে ও সে স্থানীয় মন্ডলপাড়া নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।
(৩১ মে) বুধবার উপজেলার পাররামরামপুর ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামে মালেক মিয়ার পুকুর পারের পুর্ব পার্শ্বে আলম ডাক্তার জমির সীমানার গর্ত থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগেরদিন মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে আম কুড়াতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলো শিশু রমজান।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আম কুড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু রমজান এরপর তার আর খোঁজে মেলেনি। পরে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুজির পরও সন্ধান না পাওয়ায় স্থানীয় ভাবে মাইকিং এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুটির সন্ধান চেয়ে প্রচার করা হলেও তার খোজ মিলেনি।
বুধবার (৩১মে) সকাল১০টার দিকে মালেক মিয়ার পুকুরে পাশে মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় ও পরিবারের মাঝে জানাজানি হলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে নিহত শিশুর বাবা মাসুম মন্ডল ও মা রেনুকা আক্তার তাদের ছেলেকে মামলার বিরোধের জেরে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বলেন, ওই গ্রামের মালেক মন্ডলের সাথে তাদের দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও চলমান রয়েছে, সেই বিরোধের জেরেই তারাই শিশু রমজানকে কে হত্যা করেছে।
এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল চন্দ্র ধর বলেন, খবর পেয়ে শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। শিশুটির দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দোষীদের চিন্তিত করে আইনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ নাহিদ