নিউমোনিয়া আক্রান্ত আয়ান (৪৫ দিন) বাঁচতে চায়। চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তশালীদের সহায়তা চায় তার পরিবার। আয়ান টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়াপাড়া এলাকার মোহাম্মদ সোনা আলী ও ডেগিল্যার বিলের জেসমিন আক্তারের ছেলে।
আয়ানের বাবা সোনা আলী চট্রগ্রামের সাগরিকায় একটি গার্মেন্টসে স্বল্পবেতনে চাকরি করে সংসার চালায়। মা জেসমিন আক্তার গৃহিণী।
১৫ দিন আগে আয়ানের ঠান্ডা লাগে। চিকিৎসকের পরামর্শে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের জেনারেল ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হয়। ঠান্ডা থেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়৷ অক্সিজেন লেভেল ৯০ এর নিচে নেমে যায়৷ বুকে প্রচন্ড কপ জমে। চিকিৎসক জানালো আয়ানের আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে। জেনারেল বেডে আর রাখা আয়ানের জন্য নিরাপদ নয়। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়ানকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ একইরকম পরামর্শ দিল। কিন্তু সেখানে আইসিইউ বেড খালি পাওয়া যায়নাই। পরবর্তীতে প্রিমিয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে আয়ান প্রিমিয়ারে হাসপাতালে আইসিউতে চিকিৎসাধীন আছে৷
ছেলের চিকিৎসার জন্য গচ্ছিত সকল সম্পত্তি উজাড় করে দিয়েও কোন কিনারা পাচ্ছেন না তার পরিবার। বর্তমানে প্রতিদিন চিকিৎসা বাবদ ১৮-২০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার জন্য আরো অনেক টাকার প্রয়োজন। অর্থ সংকটের কারণে আয়ানের চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তার পরিবার।
আয়ানের বাবা সোনা আলী জানান, ছেলের চিকিৎসার জন্য আমাদের পরিবারের যা কিছু ছিলো সব ব্যয় করা হয়েছে। এখন অর্থ সংকটে চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মানবিকতার দৃষ্টিতে যার যার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করলে আমার ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারবো। আমি সমাজের মানবিক ও বিত্তশালীদের প্রতি অনুরোধ করবো আপনাদের সামান্য সহযোগিতায় হয়তো আমার ছেলে আয়ানের জীবন বেঁচে যেতে পারে।
জরুরি প্রয়োজনে আয়ানের বাবা: সোনা আলী, +8801855360513 (বিকাশ/নগদ)।
পত্রিকা একাত্তর/ মোস্তাক আহমদ