রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রেমিকা মরিয়ম আক্তার লিমানা (১৫) -র দায়ের করা মামলায় পায়েল (২৪) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
মামলার বাদী মরিয়ম আক্তার লিমানা উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কিশমত কুতুব গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের মেয়ে ও গ্রেফতারকৃত পায়েল মিয়া একই গ্রামের মৃত আলম মিয়ার ছেলে। তাদের উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। উভয়ের পরিবারের মধ্যে আর্থিক অবস্থার বৈষম্য থাকায় মেয়ের পরিবার তাদের প্রেমের সম্পর্কের ব্যাপারে জানতে পেরে ঐ ছেলেকে বিভিন্ন সময়ে শাসিয়েছে তবুও উভয়ের প্রেমে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারেনি।
বারংবার নিষেধ অমান্য করেও প্রেমিকার সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখে চিঠি আদান প্রদান করেন মরিয়ম ও পায়েল। চিঠি আদান প্রদানের বিষয়টি নিজ মুখে স্বীকারও করেছে লিমানা। এমনিপর্যায়ে পরিবারের চাপে নিজে বাদি হয়ে প্রেমিকের নামে শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলার প্রেক্ষিতে গত শনিবার (১৩ মে) বিকালে পায়েলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত পায়েলের মা পারুল বেগম জানায়, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান চালিয়ে অনেক কষ্টে সংসার চালাচ্ছি। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের পথে বসানোর স্বড়যন্ত্র করছে। আমার ছেলে নির্দোষ। আমার ছেলের সাথে লিমানার দীর্ঘদিন যাবতও প্রেমের সম্পর্ক ছিলো আমাদের নিষেধ থাকা সত্বেও ওরা একে অপরের সাথে চিঠি আদান প্রদান করতো। এমনি একদিন কুতুবের বাজার থেকে ফেরার পথে আমার ছেলেকে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে লিমানার মা লিপি বেগম। যার প্রতিবাদ করায় আমার ছেলেকে ঝাড়ু পেটা করে টানাহেঁচড়া শুরু করে। তখন সে তাদের বাড়িতে ঢুকে লিমানাও তাকে ভালোবাসে এই বলে লিমানাকে ডাকতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় ছ’মিলের মালিক সহিদার রহমান এগিয়ে এসে পায়েল কে তাদের বাসা থেকে বের করে দেয়। ঠিক এর পরেরদিন চক্রান্ত করে থানায় মিথ্যা মামলা দেয় ওরা।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মোয়াজ্জেম উদ্দিন বলেন, মেয়েটি নিজেই বাদি হয়ে মামলা করেছে। তাদের মধ্যে যদিও পূর্বে সম্পর্ক থেকে থাকে কিন্তু এখন মেয়ের অমতে কোনও কিছু করলে সেটি অপরাধ। পায়েলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এখন সব আদালতের উপর নির্ভর।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না জানায়, এখানে পুলিশের কোনও দোষ নাই। আমি ওসিকে বলে দিব তদন্তের সময় যেন প্রকৃত বিষয় উঠে আসে।
পত্রিকা একাত্তর/ সানজিম মিয়া