বটিয়াঘাটার সদরে প্রকাশ্য দিবালোকে এক মুদি ব্যবসায়ী শাহিনুর বেগমের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার শাহিনুর বেগম এর দোকানের সামনে রাস্তার উপর স্থানীয় মনিরুল ইসলাম মনির নেতৃত্বে সাবিনা বেগম,রুনু বেগম ও মোঃ টিপু বাহিনী শাহিনুর বেগমের উপর অর্তকিত হামলা হামলা করে তাকে গুরুতর আহত করে বলে অভিযোগ করেন মর্মে শাহিনুর বেগম বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় এক লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে ভুক্তভোগী শাহীনুর বেগম বলেন, আমার স্বামী সন্তান নিয়ে রাস্তার পাশে অতিকষ্টে সরকারী জায়গায় দোকান ঘর সহ দোকান ঘরের সাথে বসতঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে। এলাকার ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় আমাকে সহ রাস্তার পাশের অস্থায়ী বসবাস করা লোকজনদের উচ্চেদ করার জন্য হুমকি ধামকি প্রদান করে। আমি বিষয়টি নিয়ে মনিরুল ইসলাম মনির সাথে কথা বলতে গেলে সে আমাকে বিভিন্ন ধরনের কু-প্রস্তাব দেয়। আমি তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে এবং বিষয়টি আমার স্বামীকে জানালে সে আমাকে সহ আমার স্বামীকে রাস্তার পাশ থেকে উচ্ছেদ করার জন্য সর্বদা লিপ্ত থাকে।
তারই সুত্র ধরে গত ২১ মে ২০২৩ তারিখ বেলা অনুমান ১১ টার সময় মনিরুল ইসলাম মনির নেতৃত্বে সকল বিবাদীরা লাঠী সোঠা,লোহার রড,রাম দা নিয়ে আমার দোকান/বসতঘরের সামনে গিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি আমার দোকান/ঘরে বসে বিবাদীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে বিবাদী হুকুম দিয়ে বলে শালিকে দোকান থেকে টেনে বের করে নিয়ে আয় এবং মারপিট করে মেরে ফেল। হুকুম পাওয়ার সাথে সাথে অন্যান্য ২ ও ৩ নং বিবাদী আমার দোকান ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে আমার চুলির মূঠি ধরে দোকান ঘরের মধ্যে ফেলে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করতে থাকে। আমি তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করলে ১ নং বিবাদী সুযোগ বুঝে আমার দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ১০,০০০/- টাকা নিয়ে নেয়।
স্থানীয় প্রতক্ষদর্শী মমতাজ বেগম, রাবেয়া বেগম, শামসুল হক সহ এলাকাবাসী বলেন, এই মনিরুল ইসলাম এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের সংঙ্গে জড়িত। কেসমত ফুলতলা কর্মজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আসাদুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তদন্ত পূর্বক সঠিক ন্যায় বিচারের জোর দাবি করছি।
অভিযুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা সঠিক না। বটিয়াঘাটা থানার ওসি তদন্ত মোঃ জাহেদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ আক্তারুল