তরুণদের কর্মমুখী কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিতকরণ সভা


পত্রিকা একাত্তর প্রকাশের সময় : ২২/০৫/২০২৩, ১১:১৩ অপরাহ্ণ /
তরুণদের কর্মমুখী কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিতকরণ সভা

একশন এইড বাংলাদেশের অর্থায়নে বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় বাগেরহাটের রামপাল এ্যাক্টিভিস্টাদের উদ্যোগে “স্থানীয় তরুণদের জন্য বাজারমুখী কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিতকরণ অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২মে ) সকলে রামপাল ইয়ুথ হাবে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অ্যাডভোকেসি সভায় বক্তব্য দেন, রামপাল উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জনাব মোঃ নাছির উদ্দিন ,মহিলা বিষয়ক প্রশিক্ষক জনাব ফারজানা সুলতানা, বাংলাদেশ রামপাল শাখার সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপক জনাব অমিতাভ পাল,বাংলাদেশ রামপাল শাখার কৃষি ব্যাংক ব্যবস্থাপক মোঃ সাইফুল রহমান, বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার প্রকল্প সমন্বয়কারি মুশফিকুর ইসলাম, প্রোগ্রাম অফিসার জুবায়ের সানি, ও বাগেরহাট ও রামপালের বিভিন্ন এ্যাক্টিভিস্টা সদস্যবৃন্দরা।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষক মোসাম্মৎ ফারজানা যারা উদ্যোগেতা হতে চাই তাদের আমরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। এবং প্রশিক্ষণ শেষে লোনের ব্যবস্থা করে দিয়ে থাকি।

বাংলাদেশ রামপাল শাখার সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক জনাব আমিতাভ পাল বালেন, আমাদের প্রথমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে এবং সৎ হতে হবে। মানুষ অলস টাকা ব্যাংকে রাখে, সেই টাকা ব্যাংক সৎ কর্মউদ্যোগীকে ঋণ হিসাবে দিয়ে থাকে। আপনার প্রথমে ভালো একজন ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে উঠুন, ব্যাংকে আপনার বাসায় গিয়ে লোন দিবে আপনার আসতে হবে না ব্যাংকে।

বাংলাদেশ রামপাল শাখার কৃষি ব্যাংক ব্যবস্থাপক সাইফুল রহমান বলেন,আমাদের বেশিরভাগ কাজ হচ্ছে কৃষির সাথে সম্পৃক্ত। সে ক্ষেত্রে কোন যুবক যদি কৃষি উদ্যোক্তা হতে চাই তাহলে আমরা তাকে সর্বোচ্চ সহায়তা করব বলে আশ্বাস দেন।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জনাব মোঃ নাছির উদ্দিন, বলেন দেশের একতৃত্তংশই যুবক, দিন দিন বাংলা দেশে বেকারত্ব হার বেড়েই চলছে। আগামীর বাংলাদেশ তোমরা। তোমার চাকরির পিছে না ছুটে উদ্যোক্তার দিকে ছুটো নিজের কর্মসংস্থানের জায়গা নিজেই তৈরি কর । নিজেরা উদ্যোগেতা হয়ো ব্যাবসা করো অন্যকে তোমারা সুযোগ তৈরি করে দাও। তোমাদের মত যুবক দের জন্য আমার দপ্তরের দরজা সবসময় খোলা।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটা জেলা পর্যায়ে স্থানীয় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে সরকার, যা অন্য কোন দপ্তরের আছে বলে আমার মনে হয় না । প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে থাকা-খাওয়া খরচ সরকার বহন করছে। তোমরা তোমাদের সুযোগ মতন প্রশিক্ষণ করে নিজেরা উদ্যোক্তা হও। এবং যদি তোমাদের ঋণের প্রয়োজন হয় তাহলে যুব উন্নয়ন থেকে ঋণ নিতে পারো, সাথে সাথে বিভিন্ন ব্যাংক থেকেও সঠিক ডকুমেন্ট দেখিয়ে ঋণ নিতে পারো ।

পত্রিকা একাত্তর/ শামীম হাসান