বাকেরগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ট্রেনিং সেন্টারের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা লাগেনা বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান আবু জাফর।
অথচ জাতীয় পতাকা বিধিমালা আইন-১৯৭২(সংশোধিত ২০১০) আইনে বলা আছে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন এবং অফিসসমূহ,যেমন রাষ্ট্রপতির বাস-ভবন,সংসদ ভবন প্রভূতি,সকল মন্ত্রণালয় এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সচিবালয় ভবনসমূহ,হাইকোর্টের অফিসসমূহ, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের অফিসসমূহ, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এইরূপ অন্যান্য ভবন,সকল কর্মদিবসে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলন করা হইবে।
সরেজমিনে দেখা যায় বাকেরগঞ্জ জেএসইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর পূর্ব পাশে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার জন্য স্তম্ভ ও স্ট্যান্ড থাকলেও অফিস চলাকালীন সময়ে তাতে পতাকা নেই। বিষয়টি উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের কর্মকর্তা আবু জাফর এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমরা শুধু বিশেষ দিনগুলোতে পতাকা উত্তোলন করি, এছাড়া আমাদের পতাকা উত্তোলন করা লাগেনা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল বলেন, উপজেলা চত্বরে অবস্থিতি সকল দপ্তরের জন্য একটি পতাকা উত্তোলন করলেই হবে, তবে এর বাহিরে যদি কোনো সরকারি অফিস থাকে সেখানে পতাকা উত্তোলন বাধ্যতামূলক কিনা তা এখন নিশ্চিত বলতে পারছিনা, তবে নিয়ম থাকলে অবশ্যই উত্তোলন করতে হবে এবং কেউ তা অমান্য করলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে জানান তার স্বেচ্ছাচারিতার কথা, প্রশিক্ষনার্থীদের সাথে অসদাচরণ, সরকারী বরাদ্দ কৃত নির্ধারিত মূল্যের উপকরণ কম মূল্যে কিনে দেয়া হয়েছে।
এখানে এক জন প্রশিক্ষনার্থী জন্য ব্যাগ বাবদ পাঁচশত টাকা, ফাইল কলম ও অন্যান্য কেনা কাটার জন্য একশত টাকা বরাদ্দ রেখেছেন। কিন্তু, বাকেরগঞ্জ ইউআরসি প্রধান আবু জাফর দুই শত থেকে আড়াই শতটাকার নিন্ম মানের ব্যাগ ও ফাইলের পরিবর্তে নিম্নমানের নোট বুক, কলম কিনে বিতরণ করছেন বলে অভিযোগ প্রশিক্ষনার্থীদের।
এবিষয়ে সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পণ্যের দাম বিভিন্ন সময় কম বেশি হতে পারে, আমার নিজের যোগ্যতায় যদি কমে কিনতে পারি সেটা তো কারো দেখার বিষয় না, আমার কোনো অনিয়ম থাকলে তা কর্তৃপক্ষ দেখবে।
পত্রিকা একাত্তর/ ইমাম হোসেন
আপনার মতামত লিখুন :