সিরাজগঞ্জে দুর্নীতির অভিযোগে চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের দাবি


জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ প্রকাশের সময় : ১৮/০৫/২০২৩, ১১:২০ অপরাহ্ণ /
সিরাজগঞ্জে দুর্নীতির অভিযোগে চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের দাবি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে নানমুখী দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে তাকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন ওই ইউনিয়নের ৮ সদস্য (মেম্বর)।

বুধবার (১৭ মে) চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের দাবিতে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই সদস্যরা।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রাসেল বহিরাগত লোকজন দিয়ে ইউপি সদস্যদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের নামীয় ব্যাংক হিসাবের চেক স্বাক্ষর করে নিচ্ছেন। জালিয়াতি করে ভুয়া সভা দেখিয়েও ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর নিচ্ছেন।

সদস্যদের নামে বরাদ্দকৃত প্রকল্পের কোনো কাজ না করেই বিল উত্তোলন ও আত্মসাৎ করছেন। সম্প্রতি ধুবিল ইউনিয়নে মালতীনগর বাজারে পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ লাইন স্থাপন করার জন্য সরকারিভাবে ২টি প্রকল্পে ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

প্রকল্পের কোনো কাজ না করেই চেয়ারম্যান সাকুল্য টাকা আত্মসাৎ করেন। অভিযোগে ইউপি সদস্যরা আরও উল্লেখ করেন, মিজানুর রহমান রাসেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মেম্বরদের জিম্মি করে, বহিরাগত লোকজন দ্বারা আতঙ্ক সৃষ্টি করে পুরো পরিষদকে অনিয়মের আখড়ায় পরিণত করেছেন। ইউপি সভা, ওয়ার্ড সভা, ইউনিয়ন সমন্বয় কমিটির সভাসহ বার্ষিক ও বিভিন্ন মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনাকে অবজ্ঞা করে তার ইচ্ছে মতো পরিচালনা করছেন। ভিজিএফ চাল মেম্বারদের বাদ দিয়ে তালিকা তৈরি ও মেম্বরদের অনুপস্থিতিতে বহিরাগত অনুগত লোক দিয়ে বিতরণের মাধ্যমে নয়-ছয় করে চলেছেন।

এর আগেও তার অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এই ইউপি সদস্যরা ইউএনও বরাবর অনাস্থার আবেদন জানিয়েছিলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৃপ্তি কণা মণ্ডল লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

এদিকে ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রাসেল বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের ইন্দনে ইউপি সদস্যরা এসব কাজ করছেন। আমাকে সরিয়ে যদি তারা চেয়ারম্যান পদে আসতে পারেন সে জন্যই মেম্বারদের দিয়ে বারবার আমার বিরুদ্ধে দরখাস্ত করাচ্ছেন।

পত্রিকা একাত্তর/ শাহাদত হোসেন