রাণীশংকৈলে বৃষ্টির জন্য নামাজ, বিশেষ দোয়া


উপজেলা প্রতিনিধি, রাণীশংকৈল প্রকাশের সময় : ১৩/০৫/২০২৩, ৮:২০ অপরাহ্ণ /
রাণীশংকৈলে বৃষ্টির জন্য নামাজ, বিশেষ দোয়া

বৈশাখ মাসের শেষেও অনাবৃষ্টি ও দাবদাহ। সর্বত্র টানা খরা। বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়েছে চারদিকে। ফসলি জমি শুকিয়ে গেছে। বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়েছে। ফলে সব আবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সূর্যের গনগনে আঁচে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেড়েছে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দিসহ গরমজনিত নানা রোগ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভুট্টা, ধান, গমসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। নষ্ট হয়ে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ।

এ অবস্থায় ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বৃষ্টি চেয়ে ইস্তিসকার নামাজ ও বিশেষ দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। বৃষ্টি চেয়ে মুসল্লিরা ইস্তিস্কার নামাজ ও বিশেষ দোয়া করেন।

শনিবার (১৩ মে) উপজেলার মধ্য ভান্ডারা দারুল কুরআন সলিমিয়া মাদ্রাসার মাঠে দুপুরের দিকে এই নামাজ আদায় করেন আলেম উলেমা ও সাধারণ মুসল্লিরা।

নামাজ শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন মোনাজাত পরিচালনা করেন ভান্ডারা দারুল কুরআন সলিমিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ইয়াকুব আলী। নামাজে কয়েক শ মানুষ উপস্থিত হন।

নামাজে অংশ নেয়া কৃষক সুলতান বলেন, ‘আমার জীবনে রোদের তাপ এত দেখিনি। ঘরের ভেতরে বা বাইরে কোথাও থাকা যাচ্ছে না। ফ্যানের বাতাসেও কাজ হচ্ছে না। কঠিন সময় অতিক্রম করছি আমরা। আল্লাহ যেন বৃষ্টি দিয়ে আমাদের উপকার করেন, সেই আশায় এসেছি প্রার্থনা করতে।’

আরেক মুসল্লি আশরাফুল ইসলাম আশরাফ বলেন, ‘আমরা কৃষিকাজ করে সংসার চালাই। বৃষ্টির কারণে আমরা আমন রোপণ করতে পারছি না৷ এই গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই বৃষ্টির জন্য আমরা নামাজ আদায় ও দোয়া করলাম।’

নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনাকারী ইমাম মুহতামিম মুফতি ইয়াকুব আলী বলেন, ‘রাসুল (সা.) তার সময়েও বৃষ্টির জন্য এই সালাত আদায় করতেন। আমরাও আদায় করলাম। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম এবং বৃষ্টি চাইলাম।’

পত্রিকা একাত্তর/  আনোয়ার হোসেন