জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ৮ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থী এক মাদ্রাসা শিক্ষকের কাছে ধর্ষনের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে জামালপুরে হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তীব্র রক্তক্ষরণ হাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখান থেকে রাতে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
বুধবার (১০ মে) বিকেলে উপজেলার কোনামালঞ্চ এলাকায় অভিযুক্ত ধর্ষক শরিফুল (৩৮) এর থাকার ঘরে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় ধর্ষক পলাতক রয়েছে।
পরিবার স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ধর্ষনের শিকার হওয়া শিশুটি বুধবার বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে কোনামালঞ্চ নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়তে গেলে শিক্ষক শরিফুল তার থাকার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষন করে। একপর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার দিলে পরিবার ও স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভার্তি করে তার পরিবার। সেখানে তাকে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়ার পরেও অবস্থা অবনতি হলে বুধবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়।
ধর্ষক শরিফূল উপজেলার ফুলকোঁচা ইউনিয়নের কোনামালঞ্চ নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও কোনা মালঞ্চ জামে মসজিদের ইমাম। সে উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কাজইকাটা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার পারপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর চাচা বাদী হয়ে গতকাল রাতে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ধর্ষক পলাতক। আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত আছে।
পত্রিকা একাত্তর/ সাকিব
আপনার মতামত লিখুন :