রাজবাড়ীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি


জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী প্রকাশের সময় : ০৫/০৫/২০২৩, ৪:০৪ অপরাহ্ণ /
রাজবাড়ীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় রাজবাড়ী জেলার ৫টি উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এরই মধ্যে বীজ সংরক্ষণ বোরো ধান কাঁটতে শুরু করেছে কৃষক। আশানুরুপ ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুঁটেছে আনন্দের হাসি। তবে ডিজেল ও সারের মূল্যে বৃদ্ধিতে বোরো আবাদে উৎপাদন খরচও বেড়েছে। সুতরাং দাম নিয়ে আশংকায় রয়েছে উৎপাদনকারী কৃষক।

জেলার ৫টি উপজেলায় চলতি অর্থ বছরে ১৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপন করা হয়েছে। যা গত অর্থ বছরের চেয়ে প্রায় ১শত হেক্টর জমিতে বোরো উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক কৃষক স্থানীয় কৃষি বীজ সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের পরামর্শে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০, ব্রি ধান-৮৪, ব্রি ধান- ৭৪, ব্রি ধান-৮৮, ব্রি ধান-৮৯ রোপন করেছে। এই ধান বীজ সংরক্ষণ করা হবে। আবহাওয়া অনেকুলে থাকায় ফলনও ভাল হয়েছে। উৎপাদনকৃত ফলন ঘরে তুলতে পেরে কৃষকের মুখে হাসি ফুঁটলেও আশংকায় রয়েছে মূল্যে নির্ধারণের জন্য।

স্থানীয় বোরো ধান আবাদকারী কৃষক হুমায়ন আহমেদ জানান, ধান আমাদের গুরুত্বপূর্ন ফসল। স্থানীয় কৃষি ও বীজ সংরক্ষন কর্মকর্তাদের পরামর্শে আমি ব্যক্তিগত ভাবে “বীজ সংরক্ষনের জন্য ১৫ একর ধান আবাদ করেছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানও খুব ভাল হয়েছে। এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০, ব্রি ধান-৮৪, ব্রি ধান-৭৪ কাঁটতে শুরু করেছি। তিনি বলেন, সার ও ডিজেলের মূল্যে বৃদ্ধি হওয়ায় ধান উৎপাদনে ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। ধানের ভাল মূল্যে না পেলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। লোকসান হলে আমরা সাধারণ কৃষক ধান উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবো। সুতরাং সরকারি কাছে দাবি ধানে মূল্যে যেন কৃষকের কথা চিন্তা করে করা হয়।

গোয়ালন্দ উপজেলার “আয়ান সীড লিঃ” এর মালিক জানান, আমি প্রতি বছর স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে বিভিন্ন প্রকার ফসলের বীজ সংরক্ষণ করি। এবারও প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ আবাদ করেছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানও অনেক ভাল হয়েছে। আশাকরি আমি অনেক ভালবান হব।

রাজবাড়ী কৃষি বীজ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. জাহিদুল আলম জানান, স্থানীয় “আয়ান সীড লিঃ” আমাদের পরামর্শে বঙ্গবন্ধু-১০০, ব্রি ধান-৮৯, ব্রি ধান-৯২, ব্রি ধান ৭৪ আবাদ করেছে। এখানে ধানের বীজ তৈরি হচ্ছে। যেখান থেকে ফাউন্ডেশন সীড হবে। এই বীজ মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কোন প্রকার রোগের আলামত পাওয়া যায়নি। ফলন অনেক ভাল হয়েছে। আগামি বছর এই ধানের বীজ বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করা হবে। আশাকরি সাধারণ কৃষক অনেক ভালবান হবে।

পত্রিকা একাত্তর/ শাকিল মোল্লা