কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কল্যানপুর গ্রামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী জাকির জোরপূর্বক জমি দখলে নিতে গিয়ে দূর্বৃত্তের হামলায় নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, সন্ত্রাসী জাকির সাংবাদিক সালামসহ একাধিক হত্যাসহ দৌলতপুর থানায় মোট ১৩ টি মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী। সন্ত্রাসী জাকিরের মৃত্যুতে জনমনে শস্তি ফিরে এসেছে এমন দাবি করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৬০ উর্দ্ধ বৃদ্ধ বলেন, সন্ত্রাসী জাকির এলাকায় মাদক, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, দেহ ব্যবসা, গরুচুরি সিন্ডিকেট পরিচালনাসহ হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কিল্যারখ্যাত সন্ত্রাসী পরিবারের ক্যাডার হিসেবে কাজ করে আসছিল।
দৌলতপুরের এই সন্ত্রাসী পরিবারের নেতৃতে জাকির ও তার বাহিনির ক্যাডাররা নিরীহ মানুষের জমি, বাড়ি, বালি মহল দখলসহ সাধারন মানুষের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে এলাকায় অপরাধের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
তিনি আরো বলেন, জাকির এলাকায় গরু চোর জাকির বলে এক নামে পরিচিত। হোগল বাড়িয়া ইউনিয়নের কিল্যারখ্যাত সন্ত্রাসী পরিবারের ভয়ে সাধারন মানুষ সন্ত্রাসী জাকিরকে কিছু বলার সাহস পেত না। এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী খারাপ মানুষের এমন পরিস্থিতিতে এলাকায় শস্তি ফিরে এসেছে। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মজিবুর রহমান জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহত সন্ত্রাসী জাকির সম্পর্কে বলেন, দৌলতপুর থানার নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায় ভিকটিম এর নামে হত্যাকান্ডসহ ১৩ টি মামলা রয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ জমা হয়নি বলে জানান। এদিকে এই হত্যাকান্ডের ফায়ঁদা নিতে দৌলতপুরের একটি ক্ষমতাশালী সন্ত্রাসী পরিবার নিরীহ মানুষকে আসামী করতে ইতিমধ্যে দোঁড়ঝাঁপ শুরু করেছে।
সাধারন মানুষের দাবি এই হত্যাকান্ড নিয়ে জাকির বাহীনি সাধারন মানুষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে এবং যে কোন মুহূর্তে গ্রামে লুটপাট করতে পারে। সাধারন মানুষের বাড়িতে হামলা অগ্নিসংযোগ লুটপাট ঠেকাতে কুষ্টিয়ার সুযোগ্য পুলিশ সুপারসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষন করেছে সচেতন মহল।
পত্রিকা একাত্তর/আনোয়ার হোসেন
আপনার মতামত লিখুন :