মায়ের পরকীয়া সহ্য করতে না পেরে টুকরো করে হত্যা


জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর প্রকাশের সময় : ২৭/০৪/২০২৩, ১০:৪৬ অপরাহ্ণ /
মায়ের পরকীয়া সহ্য করতে না পেরে টুকরো করে হত্যা

বাবা মারা যাওয়ার পর ছোট বেলা থেকেই মায়ের অবৈধ মেলামেশা দেখতো ছোট ছেলে রকি। তখন থেকেই সে তার মাকে বাধা দিতো, প্রতিবাদ করতো। পরকীয়া থেকে বের হয়ে আসার জন্য বলতো। কিন্তু মা ছেলের কথা না শুনে উল্টো ছেলেকে বকাঝকা করতো। বড় হয়েও এসব সহ্য করতে না পেরে নিজের মাকে হত্যা করে টুকরো টুকরো করে তার ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম রকি।

গত সোমবার ২৪ এপ্রিল রাতে লক্ষ্মীপুরে মমতাজ বেগম নামে এক নারীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জেলার সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারের ভেতর একটি তালাবন্ধ ঘর থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় নারীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

ঘটনাট পর থেকে পলাতক থাকা তার ছোট ছেলে রকিকে আজ অভিযান করে গ্রেফতার করে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এমন বিস্তারিত জানায় সে।

রকি আরো বলেন, সে কোনো মানুষকে হত্যা করেনি, সে শয়তান কে হত্যা করেছে। কেননা, সে তার মায়ের পরকীয়া করার জন্য বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি তা অব্যাহত রেখেছেন।

নিহত মমতাজ বেগম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কুশাখালী ইউনিয়নের মৃত আব্দুল মতিনের স্ত্রী। তার স্বামী সড়ক ও জনপদ বিভাগের ড্রাইভার ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর নিহতের বড় ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পী মাস্টার রুলে সড়ক বিভাগে পিয়নের কাজ করে আসছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্বামী মৃত্যুর পর থেকে জেলার সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পী ও ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম রকিকে নিয়ে বসবাস করছিলেন মমতাজ বেগম। ঈদের ছুটিতে ছোট ছেলে রকিকে বাসায় রেখে বড় ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি কুশাখালীতে ঈদ করতে যান মমতাজ বেগম। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাপ্পী তার মাকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কোয়াটারে পাঠায়। রাত ৯টার দিকে বাপ্পী বাসায় ফিরে দেখে ঘরে তালা লাগানো।

এ সময় ফোনেও মাকে না পেয়ে সে আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। পরে স্থানীয়রা জানালার ফাঁক দিয়ে মেঝে রক্ত দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই ঘর থেকে মমতজ বেগমের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে।

জানা যায়, সাইফুল ইসলাম রকি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রি ১ম বর্ষের ছাত্র।

পত্রিকা একাত্তর/ তারেক মাহমুদ