রমজান মাস যত শেষের দিকে এগোচ্ছে, ঠিক তেমনি মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য এগিয়ে আসছে অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। নীলফামারীর ডোমারে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ঈদের জমজমাট কেনা-বেচা।
বৃহস্পতিবার (২০শে এপ্রিল) ডোমার শহরের বিভিন্ন মার্কেট-শপিং কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে ঈদ উদযাপনে পছন্দসই পণ্য ক্রয়ের ধুম। ক্রেতাদের উচ্ছ্বাসের সাথে পণ্য ক্রয়ে সন্তুষ্ট ব্যবসায়ীরা। বড় বড় দোকানগুলির মতোই সব দোকানেই ক্রেতাদের বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদে নতুন কাপড় সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় হচ্ছে এবার।
ঈদ বাজার জমজমাট করতে ও ক্রেতাদের মন কাড়তে নতুন নতুন ডিজাইনের বিভিন্ন পণ্য দোকানে তুলেছেন বিক্রেতারা। এছাড়া বাজারের বিভিন্ন দোকান, মার্কেট ও শপিং কমপ্লেককে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। রোজ সকাল থেকে রাত অব্ধি ক্রেতাদের চাপে হাসফাস খাচ্ছেন বিক্রেতারা। রমজানের শেষ দশদিনে বেড়েছে ঈদের কেনা-বেচা।
ক্রেতাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, প্রতিবার ঈদে পরিবারের সবার জন্য নতুন জামাকাপড় কিনতে এবারও ভিড় জমিয়েছেন দোকানগুলিতে। দাম মোটামুটি নাগালের কাছে থাকায় তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না তাদের। তবে মধ্য রমজানে বেশ কয়েকটি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পণ্যের দামে কিছুটা তারতম্য দেখা গিয়েছে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রমজানের রোজা রেখে সারাদিন ক্রেতাদের চাপে বেচা-কেনা ভালোই চলছে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় ক্রেতাদের চাপ আরও বাড়ছে। মহামারীর পর গেল দুই বছর ভালোই ব্যবসা হচ্ছে। তবে ব্যবসার এই সিজনে হুটহাট বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সামান্য ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
ঈদ বাজারের বিষয়ে ডোমার থানার নজরদারি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে পুলিশের সাথে কথা হলে তারা জানান, ক্রেতা-বিক্রেতাদের ঈদ বাজারে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশের টহল রয়েছে। এছাড়া আজ বৃহস্পতিবার নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম ডোমারের ঈদ বাজার পরিদর্শন করেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, প্রতারণা ও জালিয়াতি রুখতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
পত্রিকা একাত্তর/ রিশাদ