জামালপুর শহরের ভুঁড়ি ব্যবসায়ী আব্দুল বাক্কী হত্যা মামলার বাদী, বাদীর পরিবার ও সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকির ঘটনা ঘটেছে। এতে ভীত হয়ে জামালপুর থানায় সাধারন ডায়েরী করেছে নিহত আব্দুল বাক্কীর ছোট ছেলে সুমন মিয়া।
সুমন মিয়া বলেন- “চলতি বছরের ২৪ মার্চ বিকেলে প্রতিবেশী মৃত সুরুজ আলীর ছেলে আকরাম (৪২), আকরামের স্ত্রী কামরুন্নাহার ও মুসলিমাবাদের বাসিন্দা মৃত নুরু ইসলামের ছেলে সাইদুল সরকার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে আমার বাবা আব্দুল বাক্কীকে মারপিট করে হত্যা করে। এই ঘটনায় আমার মা ময়না বেগম বাদী হয়ে জামালপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামীরা পলাতক থাকে। সম্প্রতি তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসে। এরপর থেকেই আসামীরা মামলার বাদী, আমাকে, আমার পরিবারের সদস্য ও মামলার স্বাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হত্যার হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য সরাসরি চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে”।
সুমন মিয়া আরো বলেন-“এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আমি বাড়ির সামনে পাইলিং রোডে অবস্থান করার সময় মামলার প্রধান আসামী আকরাম ও অজ্ঞাত দুইজন মোটরসাইকেল যোগে এসে আমাকে মামলা তুলে নিতে বলে। মামলা তুলে না নিলে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের গুম করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এই ঘটনার পর থেকেই আমি,আমার পরিবারের সদস্য ও স্বাক্ষীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আসামীরা দুষ্ট প্রকৃতির লোক হওয়ায় আমরা বাড়ি থেকে বের হতেও ভয় পাচ্ছি।
সুমন মিয়া অভিযোগ করে বলেন-“আকরাম আলী জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের একজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী হয়ে কিভাবে কোটিপতি হয়? জামালপুর শহরের কয়েক জায়গায় তার জমি ও বাড়ি রয়েছে। তিনি রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে আমাদের উপর একটি চাপ সৃষ্টি করছেন। যত চাপই সৃষ্টি করুক আমি আমার পিতার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই”।
অভিযোগের বিষয়ে আকরাম আলী বলেন-“এই অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কাউকে কোনো ভয়ভীতি দেখায়নি। আমি এখন এলাকাতেই ঢুকি না। মাঝে মধ্যে এলাকাতে গিয়ে আমার মাকে দেখে চলে আসি। যে সময়ের কথা আপনি বলছেন। সেই সময়ে আমি পাইলিং-এ ছিলাম না”।
এসব বিষয়ে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন-“আসামীরা এখন জামিনে রয়েছে। তারা নাকি বাদী পক্ষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এমন একটি অভিযোগ এসেছে। এখন আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত করে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো”।
পত্রিকা একাত্তর/ সাকিব