বরগুনার পাথরঘাটায় বিদ্যুতের ফাঁদ দিয়ে বন্য শুকর শিকার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে আল আমিন নামের এক যুবক বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল ১০ টার দিকে শুকরটি উদ্ধার বন বিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা কার্যালয়ে নিয়ে আসেন সদর বিট কর্মকর্তা আল আমিন।
এর আগে সকাল ৭টার দিকে হরিণঘাটা বনের চরলাঠিমারা থেকে বাহিরের চরে আল আমিন এর ধান ক্ষেতের পশ্চিম পাশ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় বন্য শুকরটি উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত আল আমিন একই এলাকার মো. আজাহার কারীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হরিণঘাটা বনের পাশে আল আমিনের ধান ক্ষেত। সেখানে প্রায়ই হরিণ ও বন্য শুকর আসে। সেখান থেকে হরিণ ও বন্য শুকর ধরার জন্য বিদ্যুতের ফাঁদ পাতলে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রায় ২ মন ওজনের একটি বন্য শুকর ধরা পরে। পরে শুকরে চামড়া খুলে মাংশ বিক্রির জন্য প্রস্তুতের সময় বন বিভাগের কর্মকর্তারা খবর পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শুকরটি উদ্ধার করে। তবে অভিযুক্ত আল আমিনকে আটক করতে পারেনি তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী অভিজিৎ জানান, সকাল ৬টার দিকে তাকে ফোন দিয়ে কাঠ কাটার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে শুকরটিকে রশিতে ঝুলিয়ে চামড়া খুলছে। বন্য শুকরটি দেখে জিজ্ঞেস করলে সে বলেন এজন্যই তোমাকে ডেকেছি।
অভিযুক্ত আল আমিনের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি, তবে তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার জানান, ওই লোকজন যেই সময়ের কথা বলছে সে সময় আমার স্বামী নদীতে মাছ শিকার করতে গেছে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
পাথরঘাটা বন বিভাগের সদর ভিট কর্মকর্তা আল আমিন জানান, আমাদের নিয়মিত টহলের সময় হরিণঘাটা এলাকার চরলাঠিমারা এলাকার বাহিরের চরের ধান ক্ষেতের পাশে দেখতে পেয়েছি একটি বন্য শুকরের চামড়া ছেলের জন্য ঝুলিয়ে রেখেছে। তা সে উদ্ধার করেছি। তবে কাউকে আটক করতে পারিনি। যে শুকরটি ধরেছে সে আপনাদের সাথে কাজ করে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আল আমিন শুধু আমাদের সোর্স ছিল এছারা আমাদের অফিসের কোন লোক না।
পত্রিকা একাত্তর/ তাওহীদুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :