বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা হলদিয়া ইউনিয়নের অফিস বাজার সংলগ্ন আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে রাত নয়টা পয়তাল্লিশ মিনিটের দিকে এক রক্তাক্ত সংঘর্ষ হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঘটনা ঘটছে আবার কেউ বলছে অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এই ঘটনা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম এ কাদের মিয়ার পুত্র সাবেক জেলা পরিষদ সদস্যে অ্যাডভোকেট আরিফ-উল-হাসান ও মোঃ শাহিন, আবুল মৃধার ছেলে আরিফ হোসেন, আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সবুজ ম্যালকার। ঘটনার পর সবুজ ম্যালকারকে চিকিৎসার জন্য আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন এবং অন্যান্যদের হাসপাতালেই চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে সবুজ ম্যালকারের ডান হাতে ও বাম হাটুতে গুরুতর আঘাত পাওয়া গেছে এবং অন্যান্যদের উভয়ের বাম হাতে আঘাত রয়েছে।
আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সবুজ ম্যালকার আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা চলাকালীন ভিডিও বক্তব্যে বলেন, সাবেক বরগুনা জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফ-উল-হাসানের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা চালানো হয়েছে।
সাবেক বরগুনা জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফ-উল-হাসান বলেন, আমার বাড়ি হলদিয়াতে, আমি হঠাৎ শুনি কেউ একজন তরমুজ বেপারীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলতে আসছে এবং তাদের সাথে বাকবিতণ্ডা চলছে। এ কথা শুনে আমি দ্রুত ঘটনাস্থানে ছুটে গিয়ে মারামারি চলছে দেখে তা থামানোর চেষ্টা করি যাতে আমি নিজেও আহত হয়েছি। তিনি বলেন আমি জানতে পেরেছি একটি বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে হলদিয়া ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ডের তহসীল অফিসের পাশে মোঃ ইলিয়াসের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটছে। ইলিয়াস জানান তিনি পটুয়াখালী চাকরি করেন তার মা একা বাড়িতে থাকেন। তিনি তার মায়ের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন রাতে হঠাৎ কিছু ছেলেরা হঠাৎ তার মাকে দরজা খুলে দা দিতে বললে তিনি দিতে অস্বীকার করলে ছেলেরা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। তার মা এই অবস্থা দেখে ভয়ে দৌড়ে ঘরের দোতলায় উঠে নিরাপদে আছেন।
ভুক্তভোগী বাসু বলেন, আমি একজন তরমুজ চাষি এবং তরমুজের ব্যবসা করে আসছি সবুজ ম্যালকার সহ তার সহযোগী প্রায় ৩০জনের একটা সংঘবদ্ধ চক্র আমার কাছে চাঁদা দাবি করে, চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গালাগাল সহ হুমকি দেয়।
ডিউটি ডাক্তার মিনহাজুর রহমান বলেন, একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছি অন্যদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একে এম মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনেছি অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ মনিরুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :