বটিয়াঘাটায় প্রধানমন্ত্রীর জমি নাই, ঘর নাই, প্রজেক্ট নিয়ে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে । ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে লবনচরা থানা এলাকাধীন শেখ রাসেল ইকোপার্ক সংলগ্ন মৃত রশিদ মোল্লার স্ত্রী জুলেখা বেগম ( ৫৫) নামের এক মহিলাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম’র নির্দেশ প্রাথমিক ভাবে আটক করেছে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ ।
পরবর্তীতে তাকে কেএমপির লবনচরা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে । এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লবনচরা থানায় ভূক্তভোগীরা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করার প্রস্ততি চলছিল । অভিযোগ জানা যায় , মাথাভাঙ্গা ইকোপার্ক এলাকার মৃত রশিদ মোল্লার স্ত্রী জুলেখা বেগম ও তার সহযোগী আপন ভাই একই এলাকার মজিদ সরদারের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম ওরফে ছোটন মিলে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও উপজেলা ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে ৮ জন ভূমিহীন ভুক্তভোগীদের যথাক্রমে মিরাজ, সুমি বেগম, হাসি, তাসলিমা, মাসুরী তাদেরই, রিনা ও রেশমা বেগমের কাছ থেকে জমি ও ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে ৬ লাক্ষ ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
বটিয়াঘাটায় প্রধানমন্ত্রীর জমি নাই, ঘর নাই, প্রজেক্ট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের বিরুদ্ধে অর্থ-বাণিজ্যের অভিযোগ করে আসছিল । তারাই ধারাবাহিকতায় উপজেলার জলমা ইউনিয়নে মোট ১৮৬ জন ভূমিহীন জমি ও ঘর পেতে আবেদন করে । উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবেদন গুলো অধিকতর যাচাই-বাছাই করার জন্য উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু বক্কর মোল্লার উপর দায়িত্ব অর্পণ করেন । তিনি অধিকতর যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ভূমিহীন হিসেবে ৬০ জনের নাম উল্লেখ করেন । বাকি আবেদন গুলো আবেদনকারী শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ও বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা বসবাস করায় বাদ পড়েন । আর তখনি বাঁধে যত বিপত্তি । জমি ও ঘর পেতে অর্থ প্রদানকারী ভূক্তোভোগীরা অর্থ প্রদানের কথা স্বীকার করলে বিষয়টি নিয়ে উপজেলায় তোড়পাড় শুরু হয়। অর্থ গ্ৰহনকারীদের মধ্যে জুলেখা বেগম নামের এক মহিলাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে । এ ঘটনায় অর্থ গ্ৰহণকারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ।
এছাড়াও বিগত দিনে প্রধানমন্ত্রীর জমি নাই, ঘর নাই, প্রজেক্টের যে ঘর গুলো বিতরণ করা হয়েছে,তার পরিবর্তে জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন অসাধু কর্মচারীরা বিভিন্ন অজুহাতে অর্থবাণিজ্য করেছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে । এব্যাপারে ভূক্তভোগী শরিফুল বলেন, দালালদের সাথে সংশ্লিষ্ট অফিসের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এর সাথে জড়িত রয়েছে ।
এর মধ্যে অন্যতম এব্যাপারে যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বে থাকা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু বক্কর মোল্লা বলেন, আমি অধিকতর যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ভূমিহীন হিসেবে ৬১ জনের নাম পেয়ছি এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সুমি আক্তার বলেন,আমি নিজ হাতে সুজন স্যারের কাছে ৯০ হাজার টাকা ঘর নেওয়ার জন্য দিয়েছি।
পত্রিকা একাত্তর/ আক্তারুল ইসলাম