নড়াইলে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি চলছে। মাঝে মধ্যেই এ ধরণের ঘটনা ঘটছে। নড়াইলের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়কের মধ্যে দাড়িয়ে থেকে আবার ছোট-বড়ো বাজারে গিয়ে হাতিকে দিয়ে টাকা তোলা হয়ে থাকে। কেউ কেউ ইচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে দেয় আবার অনেকে হাতির ভয়ে বা চক্ষুলজ্জার খাতিরে এ টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে। হাতির মাহুত প্রতিদিন এভাবে ২ হাজার থেকে ২৫শ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকে।
সাতক্ষীরা জেলার তরিকুল ইসলাম (২৪) জানালেন, সে মাদারিপুরের মাওয়া এলাকায় সার্কাস খেলায় হাতি নিয়ে এসেছেন। এর ফাঁকে ফাঁকে সে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলায় গিয়ে এভাবে আয় করে থাকেন। তবে এর একটি অংশ হাতির মালিককে দিতে হয় বলে জানান।
রূপগঞ্জ বাজারের মিতালী ফার্মেসির মালিক তাহিদুল ইসলাম বলেন, ইচ্ছা না থাকলেও দোকানের সামনে আসলে বাধ্য হয়ে টাকা দেই।
নড়াইল রূপগঞ্জ শিল্প ও বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তু ঘোষ বলেন, হাতির মাহুতরা হাতি দিয়ে টাকা তোলার জন্য বনিক সমিতির কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয় না। বিভিন্ন সময় এরা এসে টাকা তুলে থাকে।
চাঁদাবাজির বিষয়ে হাতির মালিক সোলায়মান মোল্যা বলেন,আমরা চাঁদাবাজি করিনা। আমাদের হাতি দেখতে মানুষ ছুটে আসে। খুশি হয়ে যে যা দেয় তাই নেওয়া হয়।
এ বিষয় জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, এভাবে টাকা আদায় করা অন্যায়। তবে কেউ যদি শখ করে টাকা দেয় সেটা অন্য কথা। আমরা বিষয়টি নলেজে নিচ্ছি। এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যবস্থা করা হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ হাফিজুল নিলু