রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের হত-দরিদ্র পরিবারের একমাত্র কর্তা সুবল মহন্ত ও মৃণাল রায় ।তারা দু’জন নোহালী ইউনিয়নের চার নং ওয়ার্ডে অতি-দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে মাটিকাটার দিন মজুর শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন। ৪০ দিনের কর্মসূচির মধ্যে ৪০ দিন’ই পরিশ্রম করেছেন তারা।
তাদের দলের প্রত্যেকের মজুরি পরিষোধ হলেও তারা দুজন এখনো ২৫ দিনের মজুরি পাননি।অথচ কাজ শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে প্রতিদিনের মজুরি দফায় দফায় মুঠোফোনে আসার কথা। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার দুই মাস পার হয়ে গেলেও তাদের কপালে এখনো মজুরি জোটেনি।
ভুক্তভোগী সুবল মহন্ত বলেন, খেয়ে না খেয়ে ৪০ দিনই কাজ করেছি তার মধ্যে ৬ হাজার টাকা দুই ধাপে পাইছি। কাজ করার সময় অন্যের থেকে ধার-দেনা করে সংসার চালিয়েছি এখন ওয়ার্ড মেম্বার এর কাছে দিনের পর দিন ঘুরেও মজুরি পাচ্ছিনা।
এদিকে মৃণাল রায়কে রীতিমতো হুমকি ধামকি দিয়েছে ঐ প্রকল্প সভাপতি ও ওয়ার্ড মেম্বার মোশাররফ হোসেন।মজুরী নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে কর্মসূচির নাম কেটে দিবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
শুধু মাটি কাটা শ্রমিক সুবল মহন্ত ও মৃণালই নয় এই মজুরি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন সেই দলের সরদার মোরশেদ আলম। তিনি সরদারি অংশ বাড়তি ২ হাজার টাকার মধ্যে পেয়েছেন মাত্র ৫ শত টাকা।
শ্রমিকের মজুরি ও সরদারের প্রাপ্য অংশ নিয়ে কথা বললে সাংবাদিককে মাথা ঘামাতে নিষেধ করেন সেই মেম্বার মোশাররফ হোসেন।
মুখে মিষ্টি হাসি এবং শিশু সূলভ ভঙ্গিতে মেম্বারের দিকে আঙুল তুলেন উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ওয়ার্ড মেম্বার যদি অনুপস্থিত রাখে তাহলে মজুরি না পাওয়ারই কথা, আপনি মেম্বারের সাথে কথা বলেন।হতদরিদ্র দিনমজুরদের হাহাকার শুনে ব্যাবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না।
পত্রিকা একাত্তর/ সানজিম মিয়া
আপনার মতামত লিখুন :