বরগুনার পাথরঘাটা থেকে গভীর বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ হওয়া গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ৯ জেলেকে উদ্ধারে পাথরঘাটা থেকে ছেড়ে যাওয়া র্যাব ও কোস্টগার্ডে এর বাহিনীর স্পিডবোড বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ৯ জেলেকে উদ্ধারে পাথরঘাটা থেকে সকালে ছেড়ে যায়, র্যাব ও কোস্টগার্ডের যৌথ বাহিনীর একটি অভিযানে।
গভীর সাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় জলদস্যুরা ৯ জেলেকে সাগরে ফেলে দেওয়ার পর তাদের উদ্ধার কাজে রবিবার সকালে পাথরঘাটা থেকে র্যাব ও কোস্টগার্ডের যৌথ বাহিনী।
১৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা ১০ টার সময় দুই বাহিনী (র্যাব ও কোস্টগার্ড) ১২ জন সদস্যসহ ১১ জেলেকে নিয়ে পাথরঘাটা থেকে স্পিডবোট ও একটি ট্রলার সাগরের উদ্দেশে গভীর সাগরে ছেড়ে যায় । এছাড়াও পটুয়াখালী কুয়াকাটা থেকে আরও দু’টি মাছ ধরার ট্রলার যৌথ বাহিনীকে সহযোগিতা করছে বলে বরিশাল র্যাব-৮ এর ডিএডি মো. মহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গভীর সাগরে নিখোঁজ জেলেরা হলেন, কাইউম মাঝি(৩৫) , ইয়াছিন জোমাদ্দার (৩২), আবুল কালাম (৫৮), শফিকুল মাঝি (৩৫), খাইরুল ইসলাম (৪০), আবদুল আলীম (৫৫), ফরিদ (৩৮), আবদুল হাই (৪০)। আরো এক জেলের নাম জানা যায়নি।
জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে এফবি ভাই ভাই নামের একটি ট্রলার বঙ্গোপসাগরের সোনারচর এলাকায় জলদস্যুরের কবলে পড়ে। এ সময় ৯ জেলেকে সাগরে মারধর করে ফেলে দেওয়া হলে তারা নিখোঁজ হন।
বরিশাল র্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক এ এস পি তুহিন রেজা জানান, তারা ডাকাতির ঘটনায় আহত জেলেদের খোজখবর নিচ্ছেন। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি । বর্তমানে নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের জন্য তাদের একটি দল সাগরে পঠিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
পত্রিকা একাত্তর/ তাওহীদুল ইসলাম