২০ জন কৃষি শ্রমিকের দলকে কাজ শেষে খুশি হয়ে মালিক ৫০০ টাকা বকশিস দেন। সেই টাকায় দলনেতা মাথাপিছু ২৫০ গ্রাম করে জিলাপি কেনেন। জিলাপির প্যাকেট বন্টন নিয়ে দলনেতার সাথে এক শ্রমিকের কথা কাটাকাটি গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত। মিমাংসার জন্য বসানো হয় গ্রাম্য সালিশ। রায় বাস্তবায়ন নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে পুনরায় শুরু হয় মারামারি, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া। খড়ের গাদায় আগুন দেয়া হয়। এতে আহত হয় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ডাক পরে পুলিশের। এমন ঘটনা ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসদরের আনন্দ নগর মহল্লায়।
জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে জিলাপি বন্টনকে কেন্দ্র করে পৌরসদরের আনন্দ নগর মহল্লার দলনেতা খালেকের সাথে মোশারফের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনা মিমাংসার জন্য সাজেদুর রহমান সাজুর সভাপতিত্বে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে গ্রাম্য শালিস বসানো হয়। মিমাংসা বৈঠকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলুর রহমান ও সাবেক কাউন্সিলর শাহিদুল ইসলাম সাহেদ, আলহাজ সিদ্দিকুর রহমানসহ উভয় পক্ষের ২ শতাধীক উৎসুক জনতা উপস্থিত ছিলেন। খালেক আনন্দ নগর মহল্লার খাদেম আলী ও মোশারফ বার্শেদ ফকিরের ছেলে।
করোমর্দন করে মিমাংসার রায় বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কলার ধরে টেনে নেয়াকে কেন্দ্র করে মিমাংসা বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় উত্তেজনা, মারামারি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, খড়ের গাদায় আগুন দেয়ার মতো ঘটনা। উভয় পক্ষকে শান্ত করতে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে রাত ৯টার দিকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ঘটনায় আব্দুল মালেক ও মানিক ফকির নামে দুপক্ষের ২ জনকে গুরুদাসপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তারা ২ জনই আশঙ্কামুক্ত। এতে জাহিদুল, মাহবুব, মালেক, আশিক নামের আরো ৮ জন আহত হলেও তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত মালেক জানান, রায় বাস্তবায়ন নিয়ে উত্তেজনার সময় কুদ্দস ফকিরের নির্দেশে দুলাল, বজলার, মানিক, মোশারফ, সাদ্দাম, আলাল তাকেসহ তার স্বজনদের মারপিট করে।
কুদ্দুস ফকির তার সংশ্লিষ্টতা অস্বিকার করে জানান, মাহবুর, খালেক আশিকের নেতৃত্বে তাদের আক্রমন করে আহত করা হয়েছে। নিজেরা খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে তাদের ফাঁসাতে চেয়েছিল।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলুর রহমান ফজল জানান, হাতাহাতির ছোট বিষয় মিমাংসার জন্য তার মধ্যস্থতায় শালিস বসেছিলো। রায় বাস্তবায়ন নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পুরনায় হট্টগোল থেকে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, ঘটনার পর পরই পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ সোহাগ আরেফিন
আপনার মতামত লিখুন :