গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের খুলনা ও দাকোপ সড়কের পাশে কাতিয়ানাংলা বাজারে এক রাতে আট দোকানে চুরি সংঘঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যে রাতে ৮ টি দোকানে গণচুরি সংঘঠিত হয়। চোরেরা কীটনাশ বিক্রেতা সত্যেন সরদারের দোকান থেকে ৫ হাজার টাকা,প্রদীপ সরদারের দোকান থেকে ২৮ হাজার টাকা,রঞ্জন রায়ের দোকান হতে ৩ হাজার টাকা,ফার্মেন্সী ব্যবসায়ী সুরঞ্জন রায়ের দোকান হতে ১০ হাজার টাকা, শেখর রায়ের দোকান হতে ৪৮ হাজার টাকা ও মনোরঞ্জন রায়ের ৯২ হাজার টাকা দোকান থেকে চুরি করে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ,রাতে বাজার পাহারাদার থাকার পরেও কি ভাবে চুরি হতে পারে? অনেকে বলছেন,উক্ত চোর সিন্ডিকেটের সাথে রাতে পাহারাদারদের চুরির হাত থাকতে পারে। বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি তদন্ত মোঃ জাহিদুর রহমান বলেন,চুরির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার ও চুরি হওয়া মালামালসহ টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম হালদার বলেন, এলাকার রাজ্জাক শেখের পুত্র বিল্লাল শেখ ও রিয়াজ পিতা অজ্ঞাত দুই জনকে পুলিশ আটক করেছেন। অন্যদিকে চলতি মাসের প্রথম দিকে বারোআড়িয়া বাজারে বেশ কিছু দোকানে চুরি সংঘঠিত হয়। বর্তমান বটিয়াঘাটা উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ব্যাপক হারে চুরি বেড়েছে। চোর সিন্ডিকেট চক্র চুরির পাশাপাশি ছিনতাই শুরু করেছে। বারোআড়িয়া বাজারে মিহির কান্তি গোলদার ওরপে প্রভাষ এর বাড়িতে গত সপ্তাহে চোর ঘরে প্রবেশ করে চুরি করতে। চুরি করা অবস্থায় প্রভাষের স্ত্রী মায়া রানী চোর চিনতে পারে। তখন চোর তাকে ধারালো অস্ত্র ছুরি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মহিলার কানে ও গোলায় থাকা স্বর্নের চেইন ও কানের রিং ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পত্রিকা একাত্তর/ আক্তারুল ইসলাম