patrika71
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  1. অনুষ্ঠান
  2. অনুসন্ধানী
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. ইসলাম
  8. কবিতা
  9. কৃষি
  10. ক্যাম্পাস
  11. খেলাধুলা
  12. জবস
  13. জাতীয়
  14. ট্যুরিজম
  15. প্রজন্ম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শৈলকূপায় ৬ সুদ কারবারি আটক

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩ ৪:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ছয় সুদ কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ব্ল্যাঙ্ক চেক ও স্টাম্প উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সুদ কারবারিদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতরা হলেন শৈলকূপার হরিহরা গ্রামের মৃত আব্দুল বিশ্বাসের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহিমপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ মোল্লার ছেলে আমজাদ হোসেন মোল্লা, বারইপাড়া গ্রামের মৃত আবুল শেখের রহিম শেখ, শেখপারা গ্রামের শহর আলী শেখের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান, ভাটই বাজারের আব্দুস সালামের পলাশ হোসেন,চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মন্ডলের ছেলে পিয়ার আলী।

জানা গেছে, গত কয়েকবছর ধরে শৈলকূপায় সুদ কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এরা এক লাখ টাকার বিপরীতে অনেক সময় সুদ হিসাবে সপ্তাহে ৮ থেকে ১০হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। এতে করে অনেকে তাদের আসল টাকা তো দূরে থাক সুদের টাকায় পরিশোধ করতে পারে না। পরবর্তীতে তারা কৌশলে আসল আর সুদ একসাথে মিলিয়ে টাকা ধার হিসাবে ষ্ট্যাম্পে লিখে নেয়। কখনো কখনো ব্যাংকের ব্ল্যাঙ্ক চেকও নিয়ে থাকে। ফলে সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে কিছু করার থাকে না। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথাও বলতে পারে না। তাদের চাপে এক পর্যায়ে বাপদাদার ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায় নতুবা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে।

এদিকে শৈলকূপায় সুদ কারবারিদের আটকের ঘটনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা জানিয়েছেন সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকুক।

শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করেই এই জনপদে সুদ কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

পত্রিকা একাত্তর/ মাজফুজুর রহমান