মধুমেলায় শেষ দিনে মানুষের ঢল সাগরদাঁড়িতে মধুমেলার শেষ দিনে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে মানুষের ঢল নামে। মেলায় অধিক পরিমাণে বেচা-বিক্রি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা খুশি হয়েছে। এর আগে রোববার রাতে মধুমেলার ৫ম দিনে সাগরদাঁড়ির মেলায় দেখা গেছে মানুষের ঢল । মধু ভক্তদের এত উপস্থিতি যে পা ফেলার জায়গা পর্যন্ত ছিল না। সাগরদাঁড়ির পর্যটন কেন্দ্রের মোড় হতে মধু পল্লী, বিদায় ঘাট, কাটবাদাম তলা হয়ে মধুমঞ্চের মাঠ, সার্কাস প্যান্ডেলের ভিতরে বাইরে, বিভিন্ন প্রদর্শনীর ভিতরে বাইরে শুধু মানুষ আর মানুষ। তিলধারণের ঠাই নেই কোথাও।
চুড়ির দোকানদার কিশোরগঞ্জের রফিকুল ইসলাম, আমিন মিয়া, হেলাল উদ্দিন মিয়া সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা ১৯৯৬ সাল হতে প্রতিবার মধুমেলায় এসে থাকেন। তবে এবারের মধুমেলা মানুষের যতো ঢল নেমেছে অতীতের চেয়ে মানুষের উপচে পড়া ভীড় সেই সাথে নেমেছে মানুষের ঢল। তারা আরো বলেন অধিক মূল্যে মধুমেলার মাঠ ইজারা গ্রহণ করে। আর সেই টাকা উশুল করতে আমাদের নিকট হতে ইজারার নামে বেশি টাকা আদায় করে চলেছে। যার কারণে বেচা-কেনা অধিক পরিমাণের হলেও লাভের হার কম। প্রতিবেশী সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক বিল্পব দাস (৬৭) বলেন মধুমেলায় প্রতিবছর আসা আমাদের পৈত্রিক ব্যবসা। তবে এতো মানুষের উপচেপড়া ভিড় অতিতে কোনো সময়ে হতে দেখেনি। বেচা-বিক্রিতে তারা খুব খুশী।
সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক অলিয়ার রহমান (৫৬), সাগরদাঁড়ি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজ্জাক আহম্মেদ রাজু (৫৭) জানান তারা জন্ম সুত্রে সাগরদাঁড়ির স্থায়ী বাসিন্দা। তবে এবারের মধুমেলায় যে ভিড় অতীতে কখনো তা দেখিনি তারা।
মধুমেলার মাঠ ইজারাদার কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান মফিজ জানান, অনেকের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে মেলার মাঠ ইজারা নিয়েছি। সামগ্রীকভাবে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আমার দল জেলা ও উপজেলা প্রশাসন আমাকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করে
চলেছেন।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মফিজুর রহমান জানান মধুমেলার ময়দানে আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে আমার পুলিশ বাহিনী অবিরামভাবে পরিশ্রম করে চলেছে। এখনো কোনো দিন কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
মধুমেলার উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন জানান এবারের মধুমেলার ৭ দিনের জমকালো আয়োজন এতো সুন্দর যে কারণে মানুষ ধৈর্য্যসহকারে অধিক রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করছে।
পত্রিকা একাত্তর/ মোজাপ্ফার হুসাইন
আপনার মতামত লিখুন :