বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া বাজারে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘঠিত


উপজেলা প্রতিনিধি, বটিয়াঘাটা প্রকাশের সময় : ৩০/০১/২০২৩, ৪:০৫ অপরাহ্ণ /
বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া বাজারে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘঠিত

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বারোআড়িয়া বাজারে একের পর এক চুরি সংঘঠিত হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়া যায়, চুরি হলেও কেউ আইনের আশ্রয় নেয়না। ফলে চুরি দিন দিন বেড়েই চলেছে।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি ২৩) রাত আনুঃ ২টার সময় বারোআড়িয়া বাজার ব‍্যবসায়ী প্রভাষ গোলদার এর বাড়িতে এক চোর ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। প্রভাষের স্ত্রী মায়া রানী গোলদার ঘরের ভিতরে একাই ঘুমিয়ে ছিলেন। চোর সু- কৌশলে দরজা খুলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। ঘরের ভিতরে চোর ডুকেছে টের পেয়ে, প্রভাষের স্ত্রী কে কে বলে চিৎকার করে। তখন অজ্ঞাতনামা চোর মায়া রানীর উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর হামলা করে ও তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত করে। এতে সে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার বাম হাতের আঙ্গুল গুলো কেটে যায়। চোর তার গোলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টা করে। মুখো মন্ডলে আঘাত করে। আঘাতে মায়ার উপরের একটি দাত ভেঙ্গে পড়ে যায়। গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আহত মায়া রানীর স্বামী প্রভাষ গোলদার পাশেই দোকান ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। চোর সেই ঘরের দরজা বাহির থেকে আটকে দেয়। ভুক্তভোগী মায়া রানী গোলদার বলেন, আমার কানে থাকা চার আনা ওজনের রিং ও গলার থাকা ছয় আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। চোরকে চিনতে পারায় সে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র ছুরি দিয়ে আঘাত করে। খবর পেয়ে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান।

বারোআড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মোঃ এনামুল হক বলেন, সংবাদ পেয়ে আমি সহ সোর্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে যাই। তাদেরকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি। বাজারবাসি ও বাজার কমিটি সূত্রে জানা যায়, ইতোপূর্বে উক্ত বাজারে পলাশ মন্ডল, হারুন শেখ, ব্রজেন শীল, অনুরন গোলদার সহ বেশ কিছু ব‍্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে ও বাড়িতে চরি সংঘঠিত হয়। গত শুক্রবার অনুরন গোলদার এর বাড়ির ভিতর থেকে রাত আনুঃ ৯ টার দিকে চোর ঘরে ঢুকে একটি মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে যায় বলে জানা যায়।

বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহা জালাল বলেন, চুরির ঘটনা শুনেছি। এখন কোন অভিযোগ পায়নি। আমি বারোআড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির এস আই এনামুল হককে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব‍্যবস্থা গ্রহনের জন‍্য বলেছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ মোঃ জাহিদুর রহমান বলেন, চুরির সংবাদ পেয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়েছিলাম।

ভুক্তভোগী মহিলার হাতে রক্তাক্ত জখমের ও তার মুখে, গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই। তাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি। বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু বক্কর গাজী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বারোআড়িয়া বাজারে ছোট খাটো চুরি সংঘঠিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ বাজারবাসি একটু সচেতন হলে চুরি বন্ধ করা সম্ভব বলে তিনি দাবি করে।

পত্রিকা একাত্তর/ আক্তারুল ইসলাম