২বছরেও স্টল ভাড়া হয়নি, মুক্তিযোদ্ধাদের ৮লাখ টাকার ক্ষতি


জেলা প্রতিনিধি, বরগুনা প্রকাশের সময় : ১৯/০১/২০২৩, ৮:১৬ অপরাহ্ণ / ২৪
২বছরেও স্টল ভাড়া হয়নি, মুক্তিযোদ্ধাদের ৮লাখ টাকার ক্ষতি

বরগুনা আমতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের স্টল বরাদ্দের দুই বছর পার হলেও এখনও বুঝে পায়নি ব্যবসায়ীরা।

উল্লেখ্য গত ২৯-০৯-২০২১ইং তারিখ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মোঃ মানজরুল হক কাওসার, আমতলী উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরের ৬টি স্টল বানিজ্যিক কাজে ভাড়া প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও ব্যাপক প্রচার প্রচারনা করা হয়।

ভাড়া হতে প্রাপ্ত অর্থ কমপ্লেক্স ভবনটির রক্ষনাবেক্ষন ইউটিলিটি বিল প্রদান, সহায়ক কর্মচারীদের বেতন প্রদান ও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানার্থে ব্যয়ের নির্দেশনার বিষয়ে সবাইকে অবহিত করেন এবং স্টল ভাড়াটিয়াদের সর্বোচ্চ দর প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।যার পরিপ্রেক্ষিত স্টল ভাড়া নিতে ১৪টি আবেদন পাওয়া যায়।

গত ১৭-১০-২০২১ইং তারিখ উক্ত কমপ্লেক্সের রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির সভার সন্মানিত সভাপতি মোঃ কাওসার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আমতলী বরগুনা, সভার প্রারম্ভে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা কমিটির সদস্যগন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবর রহমান স্টল প্রাপ্তির আবেদন কারীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন যে, জাতির শ্রেষ্ঠ সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর যোগ্য উওরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত পরিকল্পনায় মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানের জন্য প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করেন।

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সভাকে অবহিত করেন যে, দীর্ঘদিন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভবনটি ব্যবহার হচ্ছেনা, যা কাংখিত নয়।কমপ্লেক্স ভবনটি রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত নীতিমালাও জারী হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী ১ম ও ২য় তলা প্রতিযোগিতামূলক ভাড়া নির্ধারন করে বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে।

সন্মানিত সভাপতি ও সকল সদস্যগনের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নীচ তলার ৬টি স্টল বানিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। স্টল ০৬টি ভাড়া নেয়ার জন্য মোট ১৪জন ব্যবসায়ী আবেদন করেন।স্টল ০৬টি নম্বর নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়।

প্রতিটি স্টলের জন্য আলাদা ভাড়ার দর আহ্বান করা হয়।প্রকাশ্য প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সর্বোচ্চ দর দাতাকে ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা জামানত (ফেরতযোগ্য) ও ০১ মাসের অগ্রিম ভাড়া ৩১-১০-২০২১ এর মধ্যে পরিশোধের শর্তে আগামী ০১বছরের জন্য ভাড়া প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

কিন্তু দুইবছর পার হয়ে গেলেও স্টল বুঝে পাইনি সর্বোচ্চ দরদাতা ব্যবসায়ীরা। ৩নং ও ৪নং স্টল বরাদ্দ পাওয়া মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, সকল দরদাতা ও কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ওপেন সর্বোচ্চ দরপএের মাধ্যমে আমি ০২টি স্টল পাই কিন্তু দুই বছর অতিবাহিত হলেও এখনও আমার প্রাপ্য স্টল বুঝে দেওয়া হয়নি। কেন কিসের জন্য আমি তা জানিনা। আমাদের স্টল বুঝিয়ে দেয়া হোক।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার সিদ্দিক বলেন, আমি ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে স্টল পেয়েছি কিন্তু এখনও আমার স্টল বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। দরকার হলে আমি আইনের আশ্রয় নেব।

কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন শানু বলেন, স্টল গেল ডিসেম্বর মাসে টেন্ডার হয়েছে পূনরায় টেন্ডার কিভাবে দিলেন এই মর্মে জানতে চাইলে তিনি বললেন, আমি ঢাকায় আছি এ বিষয়ের পরে কথা বলব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন,এ বিষয়টা আমার জানা নেই, জেনে বলতে পারব।
মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের রক্ষনাবেক্ষন কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ মানজুরুল হক কাওসার বলেন, গত ১৭-১০-২০২২ইং তারিখে ১৪জন দরদাতার মধ্যে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে ০৬জন সর্বোচ্চ দরদাতাকে স্টল বরাদ্দ দিয়ে রেজুলেশন করে সংশ্লিষ্টদের কপি দেয়া হয়।

কিন্তু স্টল বুঝিয়ে দিতে পারিনি কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি মৌখিকভাবে জানতে পারি তৎকালীন সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ স্যারের কাছে মুক্তিযোদ্ধারা আবেদন করেন বরাদ্দ পাওয়া স্টল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বর্তমান অবস্থা কি তা আমি জানিনা।

পত্রিকা একাত্তর/ মনিরুল